নতুন কর্মক্ষেত্র : প্রথম সপ্তাহে কী করবেন, কী করবেন না

0
334

মো. বাকীবিল্লাহ : নতুন চাকরি পেয়েছেন। খুবই চমৎকার খবর। কর্মক্ষেত্রে প্রথম সপ্তাহ আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময়টা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে তা হতে পারে ক্যারিয়ারের জন্য মাইলফলক। আসুন জেনে নিই সময়টাকে যথাযথ ব্যবহারের কিছু উপায়।

নোট নেয়া একটি চমৎকার আইডিয়া। প্রথম সপ্তাহে নিচের বিষয়গুলো জেনে নিতে অবশ্যই ভুলবেন না।

এক. আপনার কর্মঘণ্টা কত? সবসময় কি একই জায়গায় কাজ করতে হবে? আপনাকে কি কোনো আইডি দেয়া হবে। অফিস বিল্ডিংয়ে ঢুকবেন বা বের হবেন কিভাবে? মোটরসাইকেল বা গাড়িতে অফিসে আসলে পার্কিং করবেন কোথায়?

দুই. প্রতিষ্ঠানের ড্রেস কোড আছে কি? কোন পোশাককে কর্মপরিবেশ সহায়ক বিবেচনা করা হয়?

তিন. আপনার বিরতি ও লাঞ্চের সময় কখন? লাঞ্চ করতে কোথায় যাবেন? বাসা থেকে নিয়ে আসলে কোথায় খাবেন?

চার. আপনার কর্মকর্তা করা? তাদের পদবি কী? প্রতিষ্ঠানের তাদের ভূমিকা কী? আপনি ছাড়া আর কাদেরকে তারা তদারক করেন? তাদের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবেন?

পাঁচ. আপনাকে কারা, কিভাবে প্রশিক্ষণ দেবে? আপনি কবে থেকে চাকরিতে নিয়মিত হবেন?

ছয়. চাকরিতে আপনার দায়িত্ব-কর্তব্য কী? কর্মক্ষেত্রে কিভাবে সময় ব্যয় করবেন? প্রতিদিন, সপ্তাহ বা মাসে আপনাকে কোন বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে? কাজের ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা বা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন?

সাত. আপনার কাজের পরিমাপ বা মূল্যায়ন কিভাবে করা হবে? কখন ও কিভাবে আপনার কাজের ব্যাপারে মূল্যায়ন বা নির্দেশনা পাবেন?

আট. আপনার টিমের যোগাযোগ কিভাবে হবে? কোনো মিটিং হবে কি? হলে কোথায় কিভাবে হবে?

নয়. কাজের কোথাও আটকে গেলে কার কাছে সাহায্য চাইবেন?

দশ. কারা আপনার অভ্যন্তরীণ ও বাইরের গ্রাহক? তারা প্রত্যেকে আপনার কাছে কী চায়?

১০টি বিষয় যা চাকরির প্রথম সপ্তাহে কখনোই করা উচিৎ না

এক. টেলিফোন বা ইমেইলে ছুটি চাওয়া

দুই. কোনো বিষয়ে কারো সাথে বিতর্কে জড়ানো

তিন. অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অফিসে সময়বিরতি নেয়া

চার. প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের পরামর্শ দেয়া (যদি আপনার কাছে চাওয়া না হয়)

পাঁচ. দেরি করে অফিসে আসা বা তাড়াতাড়ি বের হওয়া

ছয়. পোশাকে পেশাদারিত্ব না থাকা

সাত. ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব বেশি শেয়ার করা

আট. ‘আগের কোম্পানিতে আমরা বিষয়টা এভাবে দেখতাম’ -এ ধরনের কথা বলা

নয়. সহকর্মীকে ডেটিংয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া

দশ. কোনো ব্যক্তি, প্রক্রিয়া, বিভাগ বা প্রতিষ্ঠানকে তাচ্ছিল্য করা

হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন এসব কাজ কে করে? অনেক লোকই করেন। নতুন কর্মক্ষেত্রে নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে গিয়ে অনেকে নার্ভাস হয়ে পড়েন। আর সেকারণেই এমন কিছু বলে বা করে বসেন, যা সাধারণত তিনি করেন না।

সূত্র : ফোর্বস

ঘোষণা

আপনিও লিখুন


প্রিয় পাঠক, আপনিও লিখতে পারেন ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্সে। শিক্ষা, ক্যারিয়ার বা পেশা সম্পর্কে যে কোনো লেখা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। পাঠাতে পারেন অনুবাদ লেখাও। তবে সেক্ষেত্রে মূল উৎসটি অবশ্যই উল্লেখ করুন লেখার শেষে। লেখা পাঠাতে পারেন ইমেইলে অথবা ফেসবুক ইনবক্সে। ইমেইল : editor@careerintelligencebd.com
Previous articleবাংলা বানান টিউটোরিয়াল । পর্ব ১৭
Next articleদক্ষিণ কোরিয়ার ইপিএস লটারি উত্তীর্ণদের তালিকা
গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটাতে। থাকেন ঢাকার সাভারে। পড়াশোনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে- সরকার ও রাজনীতি বিভাগ থেকে অনার্স, মাস্টার্স । পরে এলএলবি করেছেন একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তাঁর লেখালেখি মূলত: ক্যারিয়ার বিষয়ে। তারই সূত্র ধরে সম্পাদনা ও প্রকাশ করছেন ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্স নামে এই ম্যাগাজিনটি। এছাড়া জিটিএফসি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে কর্মরত। ভিডিও তৈরি ও সম্পাদনা, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন এবং পাবলিক লেকচারের প্রতি আগ্রহ তাঁর।