কোনো বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে বিকল্প সমাধানগুলোর মধ্য থেকে সবচেয়ে ভালোটিকে বেছে নেয়ার প্রক্রিয়াই সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের এই ধাপগুলো অনুসরণ আপনাকে আরো সুচিন্তিত ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। এ প্রক্রিয়ায় ফলে আপনার সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্ভাবনা বহু গুণে বেড়ে যাবে।
কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ৭টি ধাপ
ধাপ ১ : বিষয় চিহ্নিত করুন
ধরুন, আপনি বুঝতে পারলেন যে কোনো বিষয়ে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা পরিষ্কারভাবে সংজ্ঞায়িত করুন। এ ধাপ খুবই গরুনুত্বপূর্ণ।
ধাপ ২ : প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করুন
সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করুন। কোন ধরনের তথ্য আপনার দরকার, সঠিক তথ্য কোথায় ও কিভাবে পাবেন ইত্যাদি।
এই ধাপে অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক “কাজ” উভয়ই জড়িত। কিছু তথ্য অভ্যন্তরীণ: আপনি এটি একটি স্ব-মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খুঁজবেন।
অন্যান্য তথ্য বাহ্যিক: আপনি এটি অনলাইনে, বইয়ে বা লেখায়, সংশ্রিষ্ট ব্যক্তি এবং অন্যান্য উত্স থেকে পাবেন৷
ধাপ ৩ : বিকল্পগুলো চিহ্নিত করুন
তথ্য সংগ্রহ করার সাথে সাথে, বিভিন্ন সম্ভাব্য পথ বা বিকল্পগুলি চিহ্নিত করুন। নতুন বিকল্পের জন্য আপনার কল্পনা ও অতিরিক্ত তথ্য ব্যবহার করতে পারেন। এই ধাপে, আপনি সমস্ত সম্ভাব্য এবং পছন্দসই বিকল্পগুলি তালিকাভুক্ত করুন।
ধাপ ৪ : বিকল্পগুলো মূল্যায়ন করুন
আপনি যে বিকল্পগুলো চিহ্নিত করেছেন, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হলে- তার পরিণতি কেমন হতে পারে তা ভাবুন। এবার দেখুন সেগুলোর কোনটি প্রথম ধাপের আপনার সিদ্ধান্তে বিষয়ের সাথে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ।
এ প্রক্রিয়া আপনার কিছু বিকল্প বেশি প্রাসঙ্গিক মনে হবে। সেগুলো রেখে বাকিগুলো বাদ দিয়ে তালিকা করুন
ধাপ ৫ : সেরা বিকল্পটি বাছাই করুন
এবার বাছাইকৃত বিকল্পগুলোকে আপনার বিচারে গুরুত্বানুসারে সাজান। এবার সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্তটি বাছাই করুন। প্রয়োজনে একাধিক বিকল্পের সমন্বয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
ধাপ ৬ : পদক্ষেপ নিন
এ পর্যায়ে আপনার বাছাইকৃত বিকল্প থেকে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেন।
ধাপ ৭ : সিদ্ধান্ত ও ফলাফল পর্যালোচনা করুন
এই ধাপে আপনার নেয়া সিদ্ধান্তের ফলাফল পর্যালোচনা করুন। যদি কাঙ্খিত ফল না আসে তাহলে প্রয়োজন অনুযায়ী আবার আগের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।