অফিস সময়ের অন্তত এক ঘণ্টা তারা ব্যক্তিগত ফোনালাপ, ইমেইল বা এসএমএসের পেছনে ব্যয় করছেন

অফিসে যেভাবে সময় নষ্ট করেন কর্মীরা, জানলে অবাক হবেন

ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্স : কর্মক্ষেত্রে একজন চাকরিজীবী আসলে কয় ঘণ্টা কাজ করেন? বন্ধুদের সাথে এসএমএস আদান-প্রদান, চা-বিড়ি খাওয়া ও সামাজিক মাধ্যমের নোটিফিকেশন চেক করাসহ বিভিন্ন কাজে প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা সময় নষ্ট করেন চাকরিজীবীরা। ক্যারিয়ার বিল্ডার –নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কর্মক্ষেত্রে সময় নষ্ট করার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি শীর্ষে

প্রযুক্তির ব্যক্তিগত ব্যবহার সময় নষ্টের বড় মাধ্যম হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৪ শতাংশ স্বীকার করেছেন যে- অফিস সময়ের অন্তত এক ঘণ্টা তারা ব্যক্তিগত ফোনালাপ, ইমেইল বা এসএমএসের পেছনে ব্যয় করছেন। ২১ শতাংশ বলেছেন- তারা এক ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিসের কাজের বাইরের বিষয় নিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করেন।
তবে প্রযুক্তিই একমাত্র সময় নষ্টের কারণ না। উত্তরদাতারা কিছু সহকর্মী ও অফিস মিটিংকেও তালিকায় রেখেছেন। সমীক্ষায় পাওয়া কর্মক্ষেত্রে সময় নষ্টের প্রধান দশটি কারণ নিচে দেয়া হলো-
১. সেল ফোন/এসএমস – ৫০ শতাংশ
২. গল্প/আড্ডা – ৪২ শতাংশ
৩. ইন্টারনেট – ৩৯ শতাংশ
৪. সামাজিক মাধ্যম – ৩৮ শতাংশ
৫. নাস্তা/সিগারেট – ২৭ শতাংশ
৬. হৈচৈকারী সহকর্মী – ২৪ শতাংশ
৭. মিটিং – ২৩ শতাংশ
৮. ইমেইল – ২৩ শতাংশ
৯. সহকর্মীর ড্রপিং – ২৩ শতাংশ
১০. সহকর্মীর লাউড স্পিকারে ফোন কল – ১০ শতাংশ

অফিস স্পেসকে এখন উম্মুক্ত রাখা হচ্ছে

বন্ধুদের সাথে আপনার টেক্সিটিং-এর ব্যাপারটি সম্পর্কে বস জানেন না এমনটা ভাবার দরকার নেই।
অনেক নিয়োগকর্তা (৭৩ শতাংশ) অফিসে সময় নষ্টের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন কৌশল নিয়েছেন। যেমন-
ক. অফিসে কিছু ওয়েবসাইট ব্লক করা – ৩৬ শতাংশ
খ. ব্যক্তিগত ফোনকল বা সেলফোনের ব্যক্তিগত ব্যবহার নিষিদ্ধ করা – ২৫ শতাংশ
গ. ইমেইল ও ইন্টারনেটের ব্যবহার মনিটরিং – ২২ শতাংশ
ঘ. খাবার ও নাস্তার জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া – ১৯ শতাংশ
ঘ. কর্মীদেরকে অফিসের বাইরে বসে কাজের সুযোগ প্রদান (টেলিকমিউটিং) – ১৪ শতাংশ
ঙ. অফিস স্পেসকে উম্মুক্ত রাখা – ১৩ শতাংশ
চ. মিটিং কমানো – ১২ শতাংশ
ছ. অফিসের কাজ ছাড়া স্পিকার ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ – ১১ শতাংশ

গল্প-আড্ডায় সময় নষ্ট হয় প্রতিদিন ১ ঘণ্টারও বেশি

অফিসে কাজের ব্যস্ততাপূর্ণ সময়ে নিয়োগকর্তাদের চোখে পড়া বেশ কিছু ঘটনার কথাও শেয়ার করেছেন নিয়োগকর্তা ও এইচআর বিভাগের কর্মকর্তারা। যেমন-
– অফিসে একজন বাবল উড়াচ্ছিলেন
– একজন বিবাহিত কর্মী ডেটিং সাইট ব্রাউজ করে তা অস্বীকার করেন। যদিও তার কম্পিউটারের স্ক্রিনে তখনো সাইটটি খোলা ছিল
– ওয়াশরুমে এক নারী কর্মী তার পা শেভ করছিলেন
– সহকর্মীদের ভয় দেখাতে একজন বক্সের নিচে শুয়েছিলেন
– কয়েকজন কর্মী কুস্তি খেলছিলেন
– একজন কর্মী ঘুমাচ্ছিলেন, কিন্তু জিজ্ঞেস করলে জানান তিনি প্রার্থনা করছিলেন
– এক চাকরিজীবী বাথরুমে বসে সেলফি তুলছিলেন
– একজন তার ছোট কক্ষে কাপড় পাল্টাচ্ছিলেন
– একজন চাকরিজীবী বাথরুমের হ্যান্ড ড্রাইয়ারে তার অনাবৃত পায়ে বাতাস দিচ্ছিলেন

প্রিয় পাঠক, এমন আর কী কী আছে যা অফিসে আপনার চোখে পড়েছে? জানান মন্তব্যে।

ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্স/কর্মক্ষেত্রে প্রযুক্তি

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top