থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা : জেনে নিন মৌলিক কিছু তথ্য

1
564
থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা

এস এম মাহফুজ : থাইল্যান্ড পর্যটনের দেশ হিসেবে অধিক পরিচিতি। এখানে পড়াশোনার মান ভালো। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত দেশটিতে অপেক্ষাকৃত কম খরচে বাড়তি আয়ের সুবিধা রয়েছে। ফলে থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা নিতে দিন দিনই বাড়ছে বিদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বাংলাদেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা সহজেই পড়তে যেতে পারেন।

থাইল্যান্ডে পড়াশোনা

শিক্ষাব্যবস্থা

থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের মতো উচ্চশিক্ষার সব পর্যায়ই রয়েছে অর্থাৎ ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর মাস্টার্স ও ডক্টরেট। থাইল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বছরে তিনটি সেশনে ভর্তি হয়ে থাকে। জুলাই, ডিসেম্বর ও মে।

পড়াশোনার ভাষা

থাইল্যান্ডে ইংরেজি ভাষায় পড়ার ব্যবস্থা আছে। সেজন্য শিক্ষার্থীর আইইএলটিএসে ৫.০০ থাকতে হয়। তবে আইইএলটিএস ছাড়াও যাওয়া যায়। আর তাদের থাই ভাষায় পড়াশোনা তো রয়েছেই।

কী কী বিষয়ে পড়া যায়

থাইল্যান্ডে পড়ার জন্য প্রায় সব বিষয়ই রয়েছে যেমন, সায়েন্স, আর্কিটেকচার, মেডিসিন, অ্যাকাউন্টিং, বিবিএ, ট্যুরিজম এবং হোটেল ম্যানেজমেন্ট, মেরিন টেকনোলজি, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট, ই-কমার্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার, ফুট টেকনোলজি, পাবলিক হেলথ, লিটারেচার, হিস্ট্রি, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, হেলথ কেয়ার ইত্যাদি।

পড়াশোনা ও থাকা খাওয়ার খরচ

থাইল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর কোর্স সম্পন্ন করতে বিষয়ভেদে মোট খরচ হয় তিন থেকে চার লাখ বাথ। বাংলাদেশী টাকায় পাঁচ থেকে আট লাখ। মাস্টার্স প্রোগ্রামে খরচ হবে বাংলাদেশী টাকায় এক থেকে তিন লাখ। এখানে থাকা খাওয়া বাবদ বাংলাদেশী টাকায় দশ-বারো হাজার হলেই চলে। অর্থাৎ থাইল্যান্ডে বাংলাদেশী টাকায় ১৫ থেকে ২০ হাজার হলেই সব চলে যায়।

ভিসা ও ভর্তিসংক্রান্ত

থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হতে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান, বাছাই করুন। বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দেশনা মেনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র পাঠান। এ ক্ষেত্রে ব্যাচেলর প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে অবশ্যই এইচএসসি পাস হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় আপনার কাগজপত্র দেখে মনোনীত করলে আপনার কাছে অফার লেটার পাঠাবে। এরপর আপনি ভিসার জন্য আবেদন করুন, ঢাকায় থাইল্যান্ডের দূতাবাসে। বারিধারায় অবস্থিত দূতাবাস আপনার কাগজপত্র দেখে ভিসা দিলেই চলে যাবেন থাইল্যান্ড।

পার্ট টাইম জব

থাইল্যান্ডে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম জব করারও সুযোগ রয়েছে। এখানে বিদেশী শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারে। তবে ছুটির দিনগুলোতে পূর্ণ দিবস কাজ করা যায়। বড় বড় শহর, পর্যটন এলাকা এবং হোটেল মোটেলগুলোতে কাজ করা যায় এ ক্ষেত্রে থাই ভাষা জানা থাকলে বাড়তি সুবিধা আছে।

থাইল্যান্ডে স্কলারশিপ

থাইল্যান্ডে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানই স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এর জন্য দেখা যেতে পারে www.study inthailand.org ওয়েবসাইটটি।

কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়

থাইল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও তাদের ওয়েবসাইট-
– ওয়েবস্টার ইউনিভার্সিটি-
www.webstar.ac.th
– ব্যাংকক ইউনিভার্সিটি
www.bu.acth
– সিল্পাকর্ন ইউনিভার্সিটি
www.su.ac.th
– সিনাওয়াত্রা ইউনিভার্সিটি
www.shinawatra.ac.th

ঘোষণা

আপনিও লিখুন


প্রিয় পাঠক, আপনিও লিখতে পারেন ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্সে। শিক্ষা, ক্যারিয়ার বা পেশা সম্পর্কে যে কোনো লেখা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। পাঠাতে পারেন অনুবাদ লেখাও। তবে সেক্ষেত্রে মূল উৎসটি অবশ্যই উল্লেখ করুন লেখার শেষে। লেখা পাঠাতে পারেন ইমেইলে অথবা ফেসবুক ইনবক্সে। ইমেইল : [email protected]
Previous articleহিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে ক্যারিয়ার
Next articleপড়াশোনায় মন বসাবেন যেভাবে
গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটাতে। থাকেন ঢাকার সাভারে। পড়াশোনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে- সরকার ও রাজনীতি বিভাগ থেকে অনার্স, মাস্টার্স । পরে এলএলবি করেছেন একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তাঁর লেখালেখি মূলত: ক্যারিয়ার বিষয়ে। তারই সূত্র ধরে সম্পাদনা ও প্রকাশ করছেন ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্স নামে এই ম্যাগাজিনটি। এছাড়া জিটিএফসি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে কর্মরত। ভিডিও তৈরি ও সম্পাদনা, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন এবং পাবলিক লেকচারের প্রতি আগ্রহ তাঁর।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here