সিএমএ কী? কোথায় পড়বেন?

0
1747

ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্স : ব্যবস্থাপনা আর হিসাব শাখায় দক্ষ পেশাজীবী তৈরির লক্ষ্যে সিএমএ পড়াচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।

বছরে দুটি সেশনে এখানে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হতে পারেন, জানুয়ারি থেকে জুন এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর। ‘ইন্টারমিডিয়েট এন্ট্রি রুট’ পদ্ধতিতে কোর্সটিতে উচ্চমাধ্যমিক পেরোনো শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। আবার স্নাতক করেও ভর্তি হওয়ার সুযোগ আছে ‘গ্র্যাজুয়েট এন্ট্রি রুট’ পদ্ধতিতে। আইসিএমএবির ঢাকাসহ সারা দেশে মোট ছয়টি শাখা রয়েছে।

সিএমএ কোর্সটি দুটি পদ্ধতিতে করানো হয়। একটি কোচিংপদ্ধতি এবং অন্যটি করেসপন্ডেন্স পদ্ধতি। যাঁরা কোচিংপদ্ধতিতে ভর্তি হবেন, তাঁদের নিয়মিত ক্লাস ও ক্লাস টেস্ট দিতে হবে। আর করেসপন্ডেন্স কোর্সের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস করতে হয় না। শুধু অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিলেই হয়। যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের জন্য করেসপন্ডেন্স পদ্ধতিটি সুবিধাজনক।’

ইন্টারমিডিয়েট এন্ট্রি রুট পদ্ধতিতে ভর্তি হতে হলে প্রার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে কমপক্ষে জিপিএ ৮ পেতে হবে। আর গ্র্যাজুয়েট এন্ট্রি রুট পদ্ধতিতে ভর্তি হতে যেকোনো বিভাগ থেকে ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হবে। এসএসসি থেকে স্নাতক পর্যন্ত পরীক্ষার ফল লাগবে কমপক্ষে ৬ পয়েন্ট।

সিএমএ কোর্সটিতে ইন্টারমিডিয়েট এন্ট্রি রুট ছাত্রছাত্রীদের পাঁচটি লেভেল ও গ্র্যাজুয়েট এন্ট্রি রুট ছাত্রছাত্রীদের চারটি লেভেল সম্প­ন্ন করতে হয়। একটি লেভেল শেষ করতে সময় লাগে ছয় মাস। লেভেলগুলোর মধ্যে রয়েছে নলেজ লেভেল, বিজনেস লেভেল, অপারেশনাল লেভেল, ম্যানেজমেন্ট লেভেল এবং স্ট্র্যাটেজিক লেভেল।


সিএ পড়তে কী যোগ্যতা লাগে?


ইন্টারমিডিয়েট এন্ট্রি রুট পদ্ধতির ছাত্রছাত্রীদের নলেজ লেভেলের জন্য ভর্তি ফি দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা, আর গ্র্যাজুয়েট এন্ট্রি রুট ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে বিজনেস লেভেলের জন্য ২৯ হাজার ৫০০ টাকা ফি দিতে হয়। পরবর্তী সময়ে অপারেশনাল লেভেল, ম্যানেজমেন্ট লেভেল এবং স্ট্র্যাটেজিক লেভেলের জন্য ফি যথাক্রমে ১০ হাজার, ১৪ হাজার ও ১৮ হাজার টাকা।

সিএমএ ডিগ্রি নিতে হলে ইন্টারমিডিয়েট এন্ট্রি রুট ছাত্র-ছাত্রীদের মোট ২০টি বিষয় পড়তে হয়। অন্যদিকে গ্র্যাজুয়েট এন্ট্রি রুট পদ্ধতির শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় ১৭টি বিষয়। আর এসব বিষয় পড়িয়ে থাকেন আইসিএমএবি থেকে পাস করা সদস্য ও দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। ক্লাস হয় দুই শিফটে। প্রথম শিফট শুরু হয় বেলা তিনটা থেকে, চলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় শিফট সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুরু হয়ে চলে রাত নয়টা পর্যন্ত। রোববার ছাড়া সপ্তাহে প্রতিদিন ক্লাস হয়।

চাকরির বাজারে সিএমএ ডিগ্রিধারীদের চাহিদা কেমন? এ প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়- ‘বর্তমান চাকরির বাজারে একজন সিএমএ ডিগ্রিধারীর অনেক চাহিদা রয়েছে। এই ডিগ্রিটি সম্পন্ন করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এনজিও, মোবাইল ফোন কোম্পানি, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, এমনকি বিদেশেও চাকরির ভালো সুযোগ রয়েছে।’

ভর্তি ও অন্যান্য তথ্য জানতে যোগাযোগ করতে পারেন আইসিএমএবির ঢাকাসহ দেশের অন্য শাখাগুলোতে।এ ছাড়া ভিজিট করতে পারেন www.icmab.org.bd-এই ঠিকানায়।

ঘোষণা

আপনিও লিখুন


প্রিয় পাঠক, আপনিও লিখতে পারেন ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্সে। শিক্ষা, ক্যারিয়ার বা পেশা সম্পর্কে যে কোনো লেখা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। পাঠাতে পারেন অনুবাদ লেখাও। তবে সেক্ষেত্রে মূল উৎসটি অবশ্যই উল্লেখ করুন লেখার শেষে। লেখা পাঠাতে পারেন ইমেইলে অথবা ফেসবুক ইনবক্সে। ইমেইল : [email protected]
Previous articleচাকরি পাওয়ার প্রাথমিক প্রস্তুতি আপনার আছে কি?
Next articleস্ক্রিনপ্রিন্ট শিখুন, নিশ্চিত ক্যারিয়ার গড়ুন
শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক একটি ম্যাগাজিন হিসেবে ২০১১ সালের জুলাইয়ে যাত্রা শুরু করে ’ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্স‘। পরপর চারটি সংখ্যা কাগজে বের হয় এ প্রকাশনাটি। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ধারাবাহিকতা রক্ষা সম্ভব হয়নি। শুরু থেকেই অনলাইন ভার্সন ছিল ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্সের। সেটির মাধ্যমেই বেঁচে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৭ সালে এটিকে একটি প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে চালু করার চেষ্টা করি। বর্তমানে ক্যারিয়ার সহায়ক বিভিন্ন বই প্রকাশ করছি। এছাড়া প্রকাশনার কাজে সব ধরনের সেবা দিচ্ছি। অামরা মূলত ৫টি বিভাগে কাজ করছি। ১. মুদ্রণ ও অনলাইন প্রকাশনা ২. সম্পাদনা ও প্রুফ রিডিং ৩. ক্রিয়েটিভ ডিজাইন ৪. ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ৫. দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here