মাহমুদুল হাসান
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে অনেকেই এমফিল ও পিএইচডি করার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে যারা গবেষণা, শিক্ষকতা, এনজিও প্রভৃতি সেক্টরে কাজ করছেন বা করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ২ বছর মেয়াদী (সর্বোচ্চ ৪ বছর) এমফিল কোর্স এবং ৩ বছর মেয়াদী (সর্বোচ্চ ৫ বছর) পিএইচডি কোর্স চালু আছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির যোগ্যতায় সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে।
বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৫টির মতো। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক বিশ্ববিদ্যালয় ২০০০ সালের পরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। সেগুলো অল্প কিছু বিভাগ নিয়ে চলছে। সুতরাং প্রতিষ্ঠিত পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই মূলতঃ বাংলাদেশে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আলোচনাযোগ্য হতে পারে।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গবেষনাধর্মী কাজ হয়। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বর্তমানে ৫টি কৃষি শিক্ষার উচ্চতর প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর কথা না বললেই নয়। এখানে গবেষণার কাজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ায় এখানে কৃষিভিত্তিক বিশ্ব পর্যায়ের অনেক গবেষণা হচ্ছে প্রতিবছর। বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু আছে। তবে এ আলোচনায় আমরা বাংলাদেশের মূলধারার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজখবর দেয়ার চেষ্টা করছি-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এমফিল ও পিএইচডিতে ভর্তির যোগ্যতা
এমফিল ডিগ্রিতে ভর্তির জন্য প্রার্থীকে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবশ্যই প্রথম শ্রেণী বা ২য় শ্রেণীর মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। এছাড়া মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতকে কমপক্ষে ২য় বিভাগ বা শ্রেণী থাকতে হবে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সুপারিশে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল যোগ্যতা শিথিল করতে পারে।
পিএইচডি প্রার্থীকে অবশ্যই এমফিল ডিগ্রির অধিকারী হতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্র এমফিল ১ম বর্ষ সফলভাবে শেষ করেছেন, তাদের সুপারভাইজারের সুপারিশে তারা একে পিইচডিতে রূপান্তর করতে পারেন। অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বা কলেজের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষক এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেও এমফিল ছাড়াই ভর্তির আবেদন করা যায়। গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত মানসম্মত জার্নালে প্রকাশিত লেখা প্রদর্শন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষকের পর্যাপ্ত যোগ্যতা নেই তাদের ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশে এসব শর্ত শিথিল করা যেতে পারে।
পরীক্ষা ও গবেষণার নিয়ম-কানুন
এমফিল ডিগ্রির শিক্ষার্থীকে ১ম বর্ষ শেষে ২০০ নম্বরের একটি লিখিত পরীক্ষা এবং ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। প্রতিটি কোর্সের কোর্স টিচারসহ ২ জন পেপার সেটার এবং পরীক্ষক থাকবেন। লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় পাস নম্বর হলো ৫০%। পাস নম্বর পেতে ব্যর্থ বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে পুনরায় ভর্তি হয়ে পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। যেসব ছাত্র ভালো ফলাফল নিয়ে এমফিল কোর্সগুলোর ১ম বর্ষ শেষ করেছেন তাদের কোর্সটিকে সুপারভাইজার এবং বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির পরামর্শে পিএইচডি প্রোগ্রামে রূপান্তর করা যেতে পারে।
কোনো প্রার্থী যদি বিশ্ববিদ্যালয় বা কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত হন তবে পিএইচডি-র কাজে যোগদানের সময় কমপক্ষে ১ বছরের ছুটি নিতে হবে। তবে বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সুপারিশে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে এই শর্ত শিথিল করা যায়।
একজন গবেষক হিসেবে পিএইচডি স্কলারকে সুপারভাইজারের নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কাজ প্রদর্শন করতে হয় এবং সুপারভাইজারের নিকট তার ছয় মাসের কাজের রিপোর্ট পেশ করতে হয়। পিএইচডি ডিগ্রির জন্য রেজিস্ট্রেশন চার বছর মেয়াদের জন্য হয়। তবে তা আরও চার বছরের জন্য নবায়ন করা যায়। পিএইচডি স্কলারকে প্রতিবছর বিভাগে তার গবেষণার একটি বিষয়ে কমপক্ষে একটি সেমিনার আয়োজন করতে হয়। গবেষণার বিষয়ে কোনো পরিবর্তনের জন্য পূর্বশর্ত হলো বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সুপারিশ।
গবেষণামূলক প্রবন্ধ
এম.ফিল ডিগ্রির জন্য একজন প্রার্থীকে তার সুপারভাইজারের মাধ্যমে তার গবেষণা কাজ দ্বিতীয় বর্ষের শেষে জমা দিতে হবে। প্রত্যেক গ্রন্থ পরীক্ষা কমিটি পরীক্ষা করবেন। যেখানে থাকবেন ৩ জন পরীক্ষক, একজন বাইরের পরীক্ষক এবং সুপারভাইজার। প্রার্থীর উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার পর রেজিস্ট্রেশনের কমপক্ষে ২ বছরের পর পেশকৃত থিসিসের স্বীকৃতি হিসেবে Ph.D. ডিগ্রি দেয়া হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ বাংলাদেশের সমাজ, জীবন ও সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় গবেষণার জন্য একটি উচ্চতর কেন্দ্র হিসেবে ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শিক্ষকতা ও গবেষণার জন্য এটি হলো এ ধরনের একমাত্র জাতীয় কেন্দ্র যেখানে মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, আইন এবং অনুদ্ভাবিত অন্যান্য বিষয়ে এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে গবেষণা করা হয়ে থাকে।
লিখিত ও মৌখিক ভর্তি পরীক্ষা এবং অতীত শিক্ষাগত রেকর্ডের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য প্রার্থীদের মনোনীত করা হয়। বর্তমানে গবেষণারত বা শিক্ষকরা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। এমফিলের জন্য ৩ মাসের মধ্যে এবং পিইচডির জন্য ৬ মাসের মধ্যে একটি সেমিনারে গবেষণা প্রস্তাব উত্থাপন করতে হবে।
এমফিলের জন্য ২ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের মধ্যে এবং পিইচডির জন্য ৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬ বছরের মধ্যে একটি থিসিস জমা দিতে হয়। শিক্ষাবর্ষ প্রতিবছর ১ জুলাই শুরু হয় এবং শেষ হয় ৩০ জুন।
ইনস্টিটিউট পূর্নকালীন অধ্যয়নের জন্য বেশ কিছু ফেলোশিপ প্রদান করে। ভর্তির সময় থেকে ফেলোশিপের প্রদেয় কার্যকর হয়। শুরুতে একজন এমফিল ফেলো ২ বছরের জন্য প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা পান এবং পিএইচডি ফেলো ৩ বছরের জন্য প্রতি মাসে ২০০০ টাকা পান। ফেলোশিপ প্রাপ্তদের একটি বন্ডে স্বাক্ষর করতে হয়। বাজেট বৃদ্ধি পেলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। রিসার্চ ফেলোদের জন্য কিছু রিসার্চ গ্রান্ট দেয়া হয়। অনুমোদিত গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নে UGC বা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো সংস্থা থেকে স্টাইপেন্ড নিয়েও ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া যায়।
এছাড়া জেনেটিক্স এন্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হলো ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্স। জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের সহায়তায় ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি।
এছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে এমফিল ও পিএইচডি’র সুযোগ তো আছেই।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদে গবেষণা চালু আছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্কুলার অনুসারে কোনো চাকরিরত প্রার্থীকে পিএইচডিতে গবেষক হিসেবে ভর্তি হওয়ার জন্য ক্যারিয়ারে সব ১ম বিভাগ না থাকলে কোনো অনুমোদিত কলেজ বা গবেষনামূলক প্রতিষ্ঠানে ৩ বছরের এবং এমফিলের জন্য ক্যারিয়ারে সব ১ম বিভাগ না থাকলে কোনো অনুমোদিত কলেজ বা গবেষনামূলক প্রতিষ্ঠানে ২ বছরের চাকুরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এমফিলের জন্য কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও চলে।
পিএইচডি’র ক্ষেত্রে কোনো প্রার্থী যদি অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল করে থাকেন তবে তা সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদন করতে হয়। ইউরোপীয় কমিশনের ফান্ডে পরিচালিত সম্পূর্ন বিনা খরচে পড়ার সুযোগসম্পন্ন ইরাসমাস মুন্ডাস বৃত্তিতে বাংলাদেশের একটি পার্টনার বিশ্ববিদ্যালয় হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত হচ্ছে ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র। এটি নির্মিত হলে বিজ্ঞান গবেষণায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অফুরন্ত সুযোগ সৃষ্টি হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রমের সুবিধার্থে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলো হলো: ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চ, ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং, নজরুল রিসার্চ সেন্টার, রিসার্চ সেন্টার ফর ম্যাথমেটিকাল এন্ড ফিজিক্যাল সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখানকার গবেষণা কাঠামো অনেক মানসম্পন্ন।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)
এটি বাংলাদেশের একটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক নাগরিকরা এর মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পান।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি অনুষদ আছে। এগুলো হলো: সিকিওরিটি এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্ট্যাডিজ অনুষদ, টেকনিক্যাল স্টাডিজ অনুষদ, মেডিক্যাল স্টাডিজ অনুষদ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ এবং জেনারেল স্টাডিজ অনুষদ। এখন ২০১২-১৩ বর্ষে ২য় ব্যাচের কার্যক্রম চলছে।
এমফিলে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো প্রার্থীর ন্যূনতম একটি স্বীকৃত গবেষণাধর্মী প্রকাশনা কিংবা মাঠপর্যায়ের সফল গবেষণা থাকলে তাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। আর পিএইচডির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্বীকৃত জার্নালে ন্যূনতম ২টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে ভর্তির জন্য শুধু গবেষণা প্রস্তাব দিলেই হয় না। লিখিত পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে পাস করতে হয়।
এখানে পূর্ণকালীন অধ্যয়নে অনেক সংখ্যক ফেলোশীপ দেয়া হয়। ভর্তির সময় থেকে ফেলোশীপের অর্থ প্রদান করা হয়। এমফিল ফেলোকে শুরুতে প্রতি মাসে ২ বছরের জন্য ৭৫০০ টাকা করে দেয়া হয় এবং পিএইচডি ফেলোকে ৩ বছরের জন্য প্রতি মাসে ১২৫০০ টাকা করে দেয়া হয়। ফেলো গ্রহণকারীকে অবশ্যই একটি বন্ডে স্বাক্ষর করতে হবে। এছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ ফেলোদেরকে তাদের চূড়ান্ত থিসিসের কাজে কিছু গবেষণা ভাতা প্রদান করা হয়।
আলোচনার শেষ পর্যায়ে বলবো, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি এখন আর সৌখিনতা নয়। বাংলাদেশে যেমন বাড়ছে ক্যারিয়ার সচেতন ব্যক্তির সংখ্যা তেমনি দ্রুতই বাড়ছে এমফিল-পিএইচডি ছাত্রের সংখ্যা। গত এক দশকে গবেষণা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়েছে এবং গবেষণার সুযোগ সুবিধা বেড়েছে। উপরের বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাংলাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং নতুন কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধরনের উচ্চতর গবেষণার কার্যক্রম চালু আছে। তাই আপনিও এখনই ভেবে দেখুন যে দেশে অর্জিত এ ডিগ্রি আপনার ক্যারিয়ারে কোনো সাহায্য করবে কিনা।
লেখকের ইমেইল : [email protected]