অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০ নিয়ে শুরু হয়ে গেছে লেখক-প্রকাশকদের তোড়জোড়। বাঙালির প্রাণের এ উৎসবে প্রকাশিত হচ্ছে এ সময়ের গুরুত্বপূর্ণ কবি ও লেখক নওশাদ জামিলের কবিতার বই ‘প্রার্থনার মতো একা’।
প্রথম দশকের সংবেদী ও গুরুত্বপূর্ণ কবি ও লেখক হিসেবে তার খ্যাতি ও পরিচিতি সর্বজনবিদিত। ‘প্রার্থনার মতো একা’ বইটির প্রকাশ করছে অন্যপ্রকাশ। প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত।
নওশাদ জামিলের জন্ম ময়মনসিংহের ভালুকায়। তার শৈশব কেটেছে ভালুকার সিডস্টোর বাজার এলাকায়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়াশোনা সেখানেই। তারপর চলে আসেন ঢাকায়, ভর্তি হন ঢাকা স্টেট কলেজে। উচ্চমাধ্যমিকের পর পড়াশোনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, সরকার ও রাজনীতি বিভাগে। সেখান থেকেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর।
সাহিত্য ধ্যানজ্ঞান হলেও নওশাদ জামিলের পেশা সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতার শুরুতে কাজ করেন দৈনিক প্রথম আলোয়। বর্তমান কাজ করছেন দৈনিক কালের কণ্ঠের বার্তা বিভাগে, সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে।
তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তীর্থতল’ প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের অমর একুশের গ্রন্থমেলায়। বইটির প্রকাশক ঐতিহ্য। একই প্রকাশনী থেকে ২০১৪ সালে বের হয় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কফিনে কাঠগোলাপ’। ২০১৬ সালের গ্রন্থমেলায় তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ঢেউয়ের ভেতর দাবানল’ প্রকাশ করে প্রকাশনা সংস্থা অন্যপ্রকাশ। ২০১৭ সালের গ্রন্থমেলায় ভ্রমণগ্রন্থ ‘লঙ্কাপুরীর দিনরাত্রি’ প্রকাশ করে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স। এ ছাড়াও সম্পাদনা করেছেন ‘কহন কথা: সেলিম আল দীনের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার’ (যৌথ) ও ‘রুদ্র তোমার দারুণ দীপ্তি’ (যৌথ) শিরোনামের দুটি বই ও পত্রিকা।
কবিতা ও সাংবাদিকতার জন্য ইতিমধ্যে নওশাদ জামিল অর্জন করেছেন বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা। কবিতার জন্য পেয়েছেন কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার, বিশাল বাংলা সাহিত্য পুরস্কার এবং ভারতের পশ্চিম বঙ্গ থেকে পান আদম সম্মাননা পুরস্কার। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য পান ইউনেস্কো-বাংলাদেশ জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী স্মৃতি পুরস্কার।