অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা : ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস বৃত্তি

0
288
অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা

বর্তমানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দের দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া। ওশেনিয়া মহাদেশের এ দেশটি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের দিক থেকে বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় জনপ্রিয় দেশ। বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এ দেশটিতে। শান্তিপূর্ণ এ দেশে মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী দেশটিতে পাড়ি জমান।

অন্যান্য দেশের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচে অস্ট্রেলিয়ায় পড়া গেলেও দেশটির সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস।

অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস প্রতিবছর ইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট অ্যাওয়ার্ডের অধীনে মাস্টার্সে (রিসার্চ) আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দুই বছরের স্কলারশিপ দেয়। ১৯৪৯ সালে সিডনিতে স্থাপিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা রিসার্চ ইনস্টিটিউট। দেশটির সেরা ১০টি ইউনিভার্সিটির মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে এটি। কিউএস র‍্যাঙ্কে এর অবস্থান ৪৪তম। বর্তমানে প্রায় ৬৩ হাজার শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের অন্যান্য কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।

স্কলারশিপের পরিমাণ

এই স্কলারশিপের আওতায় শতভাগ টিউশন ফি দেওয়া হয়। তা ছাড়া প্রতিবছর স্টাইপেন্ড হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের ২৮ হাজার ৮৫৪ ডলার দেওয়া হবে। মাস্টার্সের এই স্কলারশিপ দুই বছরের জন্য দেওয়া হয়। এর বাইরেও শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে চিকিৎসা-সুবিধা ও ভাতা।

স্কলারশিপের আওতাভুক্ত সাবজেক্ট

▶ ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন
▶ ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং
▶ ফ্যাকাল্টি অব ল
▶ ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স
▶ ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্কুল
▶ ফ্যাকাল্টি অব বিল্ট এনভায়রনমেন্ট
▶ ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন
▶ ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স

যা যা লাগবে

▶ ব্যাচেলর ডিগ্রির সার্টিফিকেট
▶ প্রয়োজনীয় একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
▶ সিভি
▶ রিসার্চ প্রপোজাল
▶ IELTS স্কোর
▶ রিকমেন্ডেশন লেটার
▶ পাসপোর্ট
▶ অন্যান্য ডকুমেন্টস

আবেদন পদ্ধতি

▶ যেহেতু এটি মাস্টার্স বাই রিসার্চ ডিগ্রি, তাই প্রথমে একজন সুপারভাইজর ঠিক করতে হবে। অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার আগে ভার্সিটিতে একজন সুপারভাইজারকে কনভিন্স করতে হবে, যাঁর তত্ত্বাবধানে আপনি এ রিসার্চটি করবেন। তাঁকে থিসিস সুপারভিশনের জন্য রাজি করাতে হবে। সাধারণত ই-মেইলের মাধ্যমে প্রফেসরদের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করতে হবে।

▶ এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন অনলাইনের মাধ্যমেই করা যাবে। তাই প্রথমে সব ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে স্ক্যান করতে হবে। তারপর নিচের লিংকে গিয়ে অ্যাপ্লিকেশন জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়

প্রতিবছর তিনটি সেশনে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদনের ডেডলাইন থাকে ফেব্রুয়ারি, মে ও সেপ্টেম্বর মাসে। অর্থাৎ চার মাস পরপর অ্যাপ্লিকেশনের সুযোগ থাকে। তাই কারও একটি ডেডলাইন মিস হয়ে গেলে এক বছর অপেক্ষা না করে চার মাস পরেই আবার আবেদন করতে পারবেন।

ঘোষণা

আপনিও লিখুন


প্রিয় পাঠক, আপনিও লিখতে পারেন ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্সে। শিক্ষা, ক্যারিয়ার বা পেশা সম্পর্কে যে কোনো লেখা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। পাঠাতে পারেন অনুবাদ লেখাও। তবে সেক্ষেত্রে মূল উৎসটি অবশ্যই উল্লেখ করুন লেখার শেষে। লেখা পাঠাতে পারেন ইমেইলে অথবা ফেসবুক ইনবক্সে। ইমেইল : [email protected]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here