করোনার ভাইরাস থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্ত রাখতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল বাংলা (অবশ্যিক) প্রথম পত্র দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। ৪ মে পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা আয়োজন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তারিখ এপ্রিলের প্রথম দিকে জানিয়ে দেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে সাড়ে ১৩ লাখ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় বসার কথা ছিলো পহেলা এপ্রিল থেকে। এর আগে আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত এইচএসসসির প্রবেশপত্র বিতরণ স্থগিত করা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সারাদেশের প্রায় ১২ লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছেন। দেশজুড়ে আড়াই হাজারের বেশি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। করোনার কারণে সরকার থেকে বড় ধরনের লোক সমাগম আয়োজনে নিষেধ করা হয়েছে। ১২ লাখ পরীক্ষার্থীর পাশাপাশি এ পরীক্ষায় শিক্ষক, ম্যাজিস্ট্রেট, আইনশৃংখলা বাহিনী কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে আরও প্রায় তিন লাখ মানুষের সম্পৃক্ততা থাকবে। তাই পূর্বনির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কি না তা নিয়ে সংশয় ছিলো। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা লকডাউন করার পর থেকে সারাদেশে একযোগে এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিলো।
এর আগে গত ১৬ মার্চ (সোমবার) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে করোনা পরিস্থিতির কারণে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। তখন এইচএসসি পরীক্ষা বন্ধের কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কিনা, জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর দুই সপ্তাহ আগে এমন সিদ্ধান্ত যৌক্তিক হবে না বলে যুক্তি দেন তিনি। তবে পরীক্ষার আগেই এ বিষয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন শিক্ষামন্ত্রী।