রিক্সাচালক থেকে সফল লেখক

0
599

হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী : প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার সুযোগ তিনি একেবারেই পাননি। লিখতে-পড়তে শিখেছেন জেলখানায় গিয়ে। আর সেই মানুষটিই এখন একজন লেখক। না, বটতলার সস্তা লেখক নন, রীতিমতো একাডেমি পুরস্কার পাওয়া লেখক।

তাঁর নাম মনোরঞ্জন ব্যাপারী। জন্ম বাংলাদেশের বরিশালে। ১৯৪৭ সালে তাঁর বয়স যখন মাত্র তিন বছর, তখন তাঁকে নিয়ে পশ্চিমবংগে শরণার্থী হয় তাঁর পরিবার। ছিন্নমূল শরণার্থীর লেখাপড়ার সুযোগ কোথায়? তাই মনোরঞ্জনেরও লেখাপড়া করা হয়ে ওঠেনি।

পেটের তাগিদে অনেক রকম কাজ করেছেন মনোরঞ্জন – রিক্সা টেনেছেন, পাচকের কাজ করেছেন, এমনকি মেথরের কাজও।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রিক্সা টানতেন মনোরঞ্জন। একবার তাঁর রিক্সায় সওয়ারি হন বিখ্যাত লেখিকা মহাশ্বেতী দেবী। কথায়-কথায় মনোরঞ্জনের বই পড়ার নেশার কথা জেনে তাঁকে লিখতে উৎসাহ দেন মহাশ্বেতা। উৎসাহে উজ্জীবিত মনোরঞ্জন লিখে ফেলেন ২০ পৃষ্ঠার একটি গল্প – ”আমি রিক্সা চালাই”। ছাপা হয় মহাশ্বেতার ”বর্তিকা” পত্রিকায়।

সে-ই শুরু। তারপর একসময় লিখেন আত্মস্মৃতি ”ইতিবৃত্তে চণ্ডালজীবন”। পাঠক সাদরে গ্রহণ করে বইটি। শুরু হয় মনোরঞ্জনের জয়যাত্রা। বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ হয়। বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি মনোরঞ্জনকেও আমন্ত্রণ জানায় জয়পুর সাহিত্য উৎসব কর্তৃপক্ষ। কলকাতা বাংলা আকাদেমি তাঁকে দেয় ”সুপ্রভা মজুমদার স্মৃতি পুরস্কার”।

বাংলাদেশে আমরা তাঁকে বলতে গেলে চিনিই না। সমাজের একেবারে নিচুতলা থেকে উঠে আসা এমন একজন সাহিত্যিককে সবার জানা দরকার।

ঘোষণা

আপনিও লিখুন


প্রিয় পাঠক, আপনিও লিখতে পারেন ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্সে। শিক্ষা, ক্যারিয়ার বা পেশা সম্পর্কে যে কোনো লেখা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। পাঠাতে পারেন অনুবাদ লেখাও। তবে সেক্ষেত্রে মূল উৎসটি অবশ্যই উল্লেখ করুন লেখার শেষে। লেখা পাঠাতে পারেন ইমেইলে অথবা ফেসবুক ইনবক্সে। ইমেইল : [email protected]
Previous articleসহজ ও সুন্দর জীবনের জন্য চানক্যের ৪ নীতি
Next article১ জুন সোনালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার নিয়োগ পরীক্ষা
গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটাতে। থাকেন ঢাকার সাভারে। পড়াশোনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে- সরকার ও রাজনীতি বিভাগ থেকে অনার্স, মাস্টার্স । পরে এলএলবি করেছেন একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তাঁর লেখালেখি মূলত: ক্যারিয়ার বিষয়ে। তারই সূত্র ধরে সম্পাদনা ও প্রকাশ করছেন ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্স নামে এই ম্যাগাজিনটি। এছাড়া জিটিএফসি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে কর্মরত। ভিডিও তৈরি ও সম্পাদনা, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন এবং পাবলিক লেকচারের প্রতি আগ্রহ তাঁর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here