চায়ের দোকান থেকে শতকোটির ব্যবসায়

0
513
চায়ের দোকান থেকে শতকোটির ব্যবসায়

পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে একটা চায়ের দোকান দিয়েছিলেন তিন বন্ধু মিলে। শুরুতে সবাই ভেবেছিলেন ভীষণ বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই তিনজন। কিন্তু সেই বাজে সিদ্ধান্তই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে তাদের। ছোট্ট চায়ের দোকানে থেকে বছরে শতকোটির ব্যবসায় করেছেন তিন বন্ধু।

২০১৬ সালে ভারতের মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে মাত্র ৩ লাখ রুপি বিনিয়োগ করে ওই চায়ের দোকান দেন তিন বন্ধু আনন্দ, রাহুল আর অনুভব দুবে। মাত্র পাঁচ বছরেই তাদের ১৬৫টি আউটলেট থেকে ১০০ কোটি রুপির উপরে ব্যবসায় হচ্ছে। ভারত ছাড়াও দুবাইয়ে তাদের শাখা রয়েছে। খুব শিগগিরিই তারা কানাডা আর লন্ডনে শাখা খুলবেন বলে জানিয়েছেন।

‘চায়ে সুত্তা বার’ নামের ওই চেইনশপটি চায়ের দোকান হলেও এখানে স্যান্ডউইচ, পাস্তা, নুডুলসও পাওয়া যায়। সাথে ১০টি ভিন্ন ফ্লেভারের চা তো আছেই। তবে সেখানে ধূমপানের কোনো সুযোগ নেই।

আর তাদের আউটলেটগুলোতে চা পরিবেশন করা হয় মাটির পাত্রে। মৃৎশিল্পীদের যেন কিছুটা সাহায্য হয় এজন্যই এই প্রথা চালু করেছেন বলে ‘চায়ে সুত্তা বার’ এর পরিচালক আনন্দ নায়েক জানিয়েছেন।

তবে তাদের এই শুরুটা এতো সহজ ছিল না বলে জানান আনন্দ। তিনি বলেন, কৃষক বাবার ছেলে হলেও ব্যবসায় করতে চেয়েছিলেন তিনি। এ জন্য প্রথমে তৈরি পোশাকেও ব্যবসায় শুরু করেছিলেন। সেখানে খুব একটা সুবিধা করতে না পেরে চায়ের দোকান দেওয়ার কথা মাথায় আসে।

এদিকে, আর দশটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো অনুভবের পরিবারও চেয়েছিল ছেলে বড় সরকারি চাকরিজীবী হোক। এজন্য চাকরির পড়াশুনার শুরু করেছিলেন অনুভব। কিন্তু আনন্দের পরিকল্পনা শুনে অনুভব চাকরির প্রস্তুতি ছেড়েছুড়ে তার সাথে যোগ দেন। পরিবারের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ব্যবসায় শুরু করেন তিনি। ডেকে নেন আরেক বন্ধু রাহুলকে। তিন বন্ধু মিলে তখন মাত্র তিন লাখ রুপি জোগাড় করতে পেরেছিলেন। তা দিয়েই শুরু হয় আজকের শতকোটির ব্যবসার প্রথম ধাপ।

ঘোষণা

আপনিও লিখুন


প্রিয় পাঠক, আপনিও লিখতে পারেন ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্সে। শিক্ষা, ক্যারিয়ার বা পেশা সম্পর্কে যে কোনো লেখা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। পাঠাতে পারেন অনুবাদ লেখাও। তবে সেক্ষেত্রে মূল উৎসটি অবশ্যই উল্লেখ করুন লেখার শেষে। লেখা পাঠাতে পারেন ইমেইলে অথবা ফেসবুক ইনবক্সে। ইমেইল : [email protected]
Previous articleঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের কোনটিতে কত আসন
Next articleতুরস্কে উচ্চশিক্ষা : শিক্ষার্থীদের যা জানা জরুরি
গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটাতে। থাকেন ঢাকার সাভারে। পড়াশোনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে- সরকার ও রাজনীতি বিভাগ থেকে অনার্স, মাস্টার্স । পরে এলএলবি করেছেন একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তাঁর লেখালেখি মূলত: ক্যারিয়ার বিষয়ে। তারই সূত্র ধরে সম্পাদনা ও প্রকাশ করছেন ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্স নামে এই ম্যাগাজিনটি। এছাড়া জিটিএফসি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে কর্মরত। ভিডিও তৈরি ও সম্পাদনা, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন এবং পাবলিক লেকচারের প্রতি আগ্রহ তাঁর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here