জীবনে ২৮-২৯টি ফেইলিওর প্রজেক্টের তালিকার মধ্যে ১০-১২টি পরিপূর্ণ লিমিটেড কোম্পানি ছিল। তবে সেই লিস্টও পূর্ণাঙ্গ ছিল না। যতটুকু তার স্মৃতিতে এসেছে ততগুলোই তিনি লিস্ট করেছিলেন।
তবে তিনি মনে করেন, আনুমানিক ৫০টি উদ্যোগে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। যেমন- তার হেলিকপ্টারের একটি প্রজেক্ট ছিল, অনেক দিন চেষ্টা করেছিলেন হেলিকপ্টার বানানোর, যা ৩০-৪০ কেজি ওজন বহন করতে পারবে। সেখানে তিনি ব্যর্থ হন।
বায়ো ফুয়েলের একটি প্রজেক্ট ছিল, যেখানে প্ল্যান্টস থেকে ফুয়েল তৈরি করার কাজ তিনি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হন।
আবার ইসলামিক মোটিভেশনের আগে তিনি একটি প্রোডাকশন হাউজ করেছিলেন, যেখানে ইউনিলিভারসহ আরও বড় বড় ব্র্যান্ডের কাজ করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়।
এছাড়া স্কুল, গেম স্টুডিও থেকে শুরু করে লিমিটেড কোম্পানি ফর্মে থাকা অনেক প্রজেক্ট ছিল, যেগুলো সফলতার মুখ দেখেনি। কিন্তু তারপরও তিনি পিছপা হননি। স্বপ্ন দেখে গেছেন এক অন্যরকম বাংলাদেশ গড়ার।
বর্তমানে তিনি অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সিইও। পাইল্যাবস বাংলাদেশ লি. -এর চেয়ারম্যান। উদ্ভাস অ্যাকাডেমিক ও অ্যাডমিশন কেয়ার এবং উন্মেষ মেডিকেল ও ডেন্টাল কেয়ারের পরিচালক। আর সেই স্বপ্নবাজ মানুষটি আর কেউ নন মাহমুদুল হাসান সোহাগ।
তিনি বলেন, যখন কোনো মানুষের চেষ্টায় কোনো কিছু দাঁড়িয়ে যায়, তখন মানুষ কেবলমাত্র সামনের বিষয়টাই দেখে, পেছনের পরিশ্রমটা দেখে না। ধরেই নেয় তিনি একজন সুপারম্যান, কাজটা ধরেছেন এবং সফল হয়েছেন। ব্যাপারটা মোটেও এরকম নয়। সবারই ভিন্ন ভিন্ন গল্প রয়েছে। যে কোনো একটি সাকসেস অনেকগুলো ব্যর্থতার ঘাড়ে চেপেই আসে।
আপনি কিসের উপর প্যাশনেট সেটার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি কিসে ভালো বা কোন কাজটি আপনি ভালো পারেন। তবে এটা বেশিরভাগ সময়েই একে অপরের পরিপূরক যে, আপনি যে বিষয়ে প্যাশনেট হবেন সেখানেই আপনার পারফরম্যান্স ভালো থাকবে।
আর তাই, কোনো একটি মার্কেট অনেক ভালো কিংবা কোথাও একটি ভালো সুযোগ আছে, শুধুমাত্র এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে সেখানেই কাজ করতে থাকা ঠিক নয়। যেখানে ইচ্ছা আছে, প্যাশন আছে, যেটা আপনি ভালো পারেন, সেটাই করা উচিত। তবেই কাজটিকে ভবিষ্যতে আরও বড় জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
এছাড়া উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য অবশ্যই থাকতে হবে সঠিক মাইন্ডসেট, লেগে থাকা, পারসিভিয়ারেন্স, আত্মবিশ্বাস, মাথা খাটানোর প্রবণতা ইত্যাদি।
আপনিও লিখুন
প্রিয় পাঠক, আপনিও লিখতে পারেন ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্সে। শিক্ষা, ক্যারিয়ার বা পেশা সম্পর্কে যে কোনো লেখা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। পাঠাতে পারেন অনুবাদ লেখাও। তবে সেক্ষেত্রে মূল উৎসটি অবশ্যই উল্লেখ করুন লেখার শেষে। লেখা পাঠাতে পারেন ইমেইলে অথবা ফেসবুক ইনবক্সে। ইমেইল : [email protected]