বড় কর্তার আচরণ

strong-relationship-boss

তানজির আহম্মদ তুষার

প্রতিষ্ঠানের সফলতা প্রতিষ্ঠানের কর্তা-কর্মীদের সম্পর্কের ওপরও নির্ভর করে। অফিসের বড় কর্তার আচরণ ইতিবাচক হলে প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হয়। আর না হলে কর্মীদের মনোবল, আত্মবিশ্বাস ও প্রাণশক্তি ধীরে ধীরে কমে যায়। সব সময় চিৎকার করা, গালি দেওয়া, অন্যের সামনে অপমানসূচক কথা বলা, অকারণে রাগ করা ও তীব্র ভয়ের মধ্যে রাখা একজন বড় কর্তার নেতিবাচক আচরণ হিসেবে বিবেচিত হয়। অফিসের কর্মপরিবেশ ও কর্মতৎপরতা ভালো করার জন্য অফিসের বড় কর্তারা নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করতে পারেন।

অধীনস্থদের কথা শুনুন
বড় কর্তাদের একটি গুণ হলো, অধীনস্থদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা। বড় কর্তার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বেশি হলেও অধীনস্থদের মতামত প্রকাশ করতে দিলে অনেক নতুন কৌশল পাওয়া যেতে পারে। এতে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ কমে কর্মস্পৃহা বাড়ে।

সম্মান রেখে কথা
কথা বলার সময় তাদের প্রাপ্য সম্মান দিন। তুই-তুকারি করবেন না ও গালি দেবেন না। মনে রাখতে হবে, সবাই অর্থের জন্য কাজ করলেও কেউই আসলে দাস নয়। প্রত্যেকেরই আত্মসম্মান আছে।

কাজের স্বীকৃতি দিন
অধীনস্থদের কাজের মূল্যায়ন করুন ও স্বীকৃতি দিন। প্রতি মুহূর্তে সবাইকে ঢালাওভাবে প্রশংসা না করে কোনো কিছু অর্জনের পর প্রশংসা করুন।

office-relationship
অধীনস্থদের স্পর্শ ও তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করা থেকে বিরত থাকুন

দূরত্ব বজায় রাখুন
অধীনস্থদের স্পর্শ ও তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করা থেকে বিরত থাকুন। তবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করতেই হবে।

অন্যের সামনে সমালোচনা নয়
বিশেষ করে তাঁর অধীনস্থদের সামনে সমালোচনা করবেন না। আলাদা করে বলুন। তবে টিমের ব্যর্থতার জন্য সদস্যদের সামনে নেতার সমালোচনা করা যেতে পারে।

অবাস্তব টার্গেট দেবেন না
কাজের অবাস্তব টার্গেট দিলে কর্মীদের মধ্যে হতাশা বাড়ে বা বড় কর্তার কথা অগ্রাহ্য করার মানসিকতা তৈরি হয়। ধীরে ধীরে টার্গেট বাড়ান।

সিদ্ধান্তে অংশীদার
প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে কর্মীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিলে তারা কাজটি আপন করে নিয়ে নিজ দায়িত্বে করে। কোনো কাজ চাপিয়ে না দিয়ে কাজটি করতে উৎসাহিত করলে মান ভালো হবে।

তথ্য যাচাই
কেউ অন্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করলে যাচাই করুন। যাচাই করার আগে কাউকে শাস্তি দেবেন না বা নেতিবাচক আচরণ করবেন না। অভিযোগ করার জন্য কাউকে উৎসাহিত করবেন না।

কাজের স্বাধীনতা
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অধীনস্থদের কাজের স্বাধীনতা দিন। প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে কাজটি তার মতো করে করতে বলুন।

নিয়ম সর্বজনীন
অফিসের নিয়ম সবার জন্য একই রকম রাখুন। কেননা নিয়ম কারো জন্য শিথিল আবার কারো জন্য কঠোর হলে অফিসের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

সূত্র : কালের কণ্ঠ

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top