গবেষণায় দেখা গেছে যে বেশিরভাগ নারী চাকরির জন্য আবেদন করেন যখন তারা বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা যোগ্যতার ১০০ ভাগ পূরণ করতে পারেন। অন্যদিকে, পুরুষরা আবেদন করেন যখন তারা মনে করেন যে, তারা ৬০% চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
এতে প্রতীয়মান হয় যে, “নারীরা বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত কাজের যোগ্যতাকে পুরুষদের তুলনায় বেশি গুরুত্ব সহকারে নেন।”
পুরুষেরা চাকরির যোগ্যতার ক্ষেত্রে অলিখিত নিয়ম অনুসরণ করেন। আর বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত বিষয়গুলোকে হুবহু মেনে চলার পরিবর্তে নির্দেশিকা হিসাবে দেখেন।
ফলে অনেক নারী প্রার্থী আবেদনের আগেই বাদ পড়ে যান।
মনে রাখবেন, বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত যোগ্যতার শতভাগ আছে এমন প্রার্থী হয়তো চাকরিদাতা খুঁজছেন। কিন্তু এমন প্রার্থী সচরাচর পাওয়া যাবে না। কিন্তু চাকরিদাতা তো আর বসে থাকবেন না। তার তো লোক লাগবেই। সেক্ষেত্রে তিনি আবেদনকারীদের ভিতর থেকেই বেশি যোগ্যতাসম্পন্নদের বাছাই করবেন। আর সে লোকটি হতে পারেন আপনিও।
সুতরাং আগামীবার চাকরির আবেদন করার সময় শতভাগ যোগ্যতা না থাকলেও আবেদন করুন। নিজেকে নিজের ছাটাই করার দরকার নেই। আপনার যোগ্যতায় না মিললে চাকরিদাতাই আপনার সিভিটাকে বাদ রাখবেন। আর যদি সাক্ষাৎকারের জন্য ডেকেই ফেলেন তাহলে অন্তত নিজেকে তুলে ধরতে তো পারবেন!
যোগ্যতার সাথে মানানসই হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারা একটি চমৎকার কাজ। যা আপনাকে যোগ্যতম প্রার্থী করে তোলে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পদের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকলেই আবেদন করা যেতে পারে।
আগামীতে এমন ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন? জানান মন্তব্যে….
আপনিও লিখুন
প্রিয় পাঠক, আপনিও লিখতে পারেন ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্সে। শিক্ষা, ক্যারিয়ার বা পেশা সম্পর্কে যে কোনো লেখা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। পাঠাতে পারেন অনুবাদ লেখাও। তবে সেক্ষেত্রে মূল উৎসটি অবশ্যই উল্লেখ করুন লেখার শেষে। লেখা পাঠাতে পারেন ইমেইলে অথবা ফেসবুক ইনবক্সে। ইমেইল : [email protected]