বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ

৩৬তম বিসিএস সাধারণ ক্যাডারে ৫৪২টি পদসহ মোট দুই হাজার ১৮০টি শূন্য পদে নিয়োগ দেবে পিএসসি। পিএসসির নির্ধারিত তারিখ অনুসারে ৩৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ জানুয়ারি ২০১৬। মনে রাখবেন, ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন আপনার এবং এটিকে বাস্তবায়ন করতে হবে আপনাকেই। চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, সফলতা অবশ্যই আসবে। আপনি কখনোই ভাববেন না যে বিসিএস ক্যাডার না হলে লাইফ থেমে যাবে, তবে বিসিএস ক্যাডারের চেয়ে সম্মানের আর কোনো পেশা এই মুহূর্তে বাংলাদেশে নেই। সামনের কয়েকটি দিন বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে লিখেছেন মোশাররফ হোসেন


১। প্রতিদিন দু-তিনটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, ইন্টারনেট ও রেফারেন্স বই পড়ুন; যা আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।
২। লাইব্রেরিতে পাওয়া যায় এমন তিনটি জব সলিউশন বা বিসিএস প্রিলিমিনারির বই থেকে বিগত বছরের বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ও পিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষাসহ অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নগুলো সলভ করে ফেলুন। সবগুলো পরীক্ষার প্রশ্ন দাগিয়ে পড়ুন ও রিভিশন দিন।
৩। বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে অহেতুক ভয় পাবেন না। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখুন, দেখবেন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভালো ফল করবেন।
৪। বাংলা বিষয়ে বিগত বছরের বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন এবং ভাষা ও সাহিত্যের প্রশ্নগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়ুন।
৫। বাংলা বিষয়ে ভাষা, ব্যাকরণ ও সাহিত্যবিষয়ক প্রশ্ন পড়ার জন্য নবম-দশম শ্রেণীর ব্যাকরণ বই, হায়াৎ মামুদের ভাষা শিক্ষা বই, মাহবুবুল আলমের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, সৌমিত্র শেখরের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, হমায়ুন আজাদের নীল দীপাবলি ও প্রিলিমিনারি পরীক্ষার গাইড বই নিয়মিত পড়ুন।
৬। বাংলা বিষয়ের প্রশ্নোত্তরগুলো মুখস্থ না করে বারবার পড়ে মনে রাখার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, পরীক্ষায় কিছু প্রশ্নের উত্তর আপনি কখনোই দিতে পারবেন না- এটা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিন, দেখবেন অন্যান্য বিষয়ের প্রস্তুতিও আপনার ভালো হবে।
৭। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে ভালো করতে ইংলিশ ফর দ্য কম্পিটিটিভ এক্সামস, অ্যান্ড প্যাসেজ টু দ্য ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ, অক্সফোর্ড অ্যাডভান্স লার্নারস ডিকশনারি, মাইকেল সোয়ানের প্র্যাকটিক্যাল ইংলিশ ইউজেজ, রেইমন্ড মারফির ইংলিশ গ্রামার ইন ইউজ, জন ইস্ট উডের অক্সফোর্ড প্র্যাকটিস গ্রামার ও আরো কিছু গ্রামার বই সব সময় হাতের কাছে রেখে পড়বেন।
৮। ভোকাবুলারির জন্য ম্যাক ক্যারথি এবং ও-ডেলের ইংলিশ ভোকাবুলারি ইন ইউজ (সব খণ্ড), নরম্যান লুইসের ওয়ার্ড পাওয়ার মেইড ইজি বই দু’টি খুব কাজে আসে। বইগুলো পড়তে পারেন।
৯। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় গাণিতিক যুক্তিতে যেসব অঙ্ক আসে সেগুলো সহজ, তবে তা হয়তো ১ মিনিটে করতে পারবেন না। এ জন্য অঙ্ক অনুশীলন করার সময় তা শর্টকাটে সমাধান করা শিখে নেবেন।
১০। অঙ্ক করার শর্টকাট পদ্ধতির কোনো নিয়ম নেই। আপনার উদ্ভাবিত পদ্ধতি অন্যজনের সাথে নাও মিলতে পারে, কিন্তু আপনি অঙ্কের সমাধান করতে পারলেই হলো।
১১। প্রিলিমিনারির পরীক্ষার জন্য নবম-দশম শ্রেণীর গণিত বই, গাইড বইয়ে বিগত বছরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আসা অঙ্কগুলো সলভ করলেই হবে।
১২। মানসিক দক্ষতায় ভালো করার জন্য প্রথমে প্রশ্নগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন। তারপর মনোযোগের সাথে উত্তর দেবেন। প্রস্তুতির জন্য গাইড বইয়ের সাথে তিন-চারটি আইকিউ টেস্ট বই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নব্যাংক সলভ করুন। এ অংশে পূর্ণ নম্বর পাবেন না, এটা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিন। দেখবেন তাহলে দুশ্চিন্তা হবে না।
১৩। এ ছাড়া গুগলে ইংরেজিতে ভার্বাল/ অ্যাবস্ট্র্যাক্ট/ মেকানিক্যাল রিজনিং/স্পেস রিলেশন্স/স্পেলিং অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট লিখে সার্চ করে বিভিন্ন সাইটে ঢুকে তা নিয়মিত সলভ করতে পারবেন।
১৪। সাধারণ জ্ঞান- বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির প্রস্তুতির জন্য দু-তিনটি গাইড বইয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন সলভ করা ছাড়াও প্রতিদিন তিন-চারটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা পড়বেন।
১৫। সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে পড়ার কোনো শেষ নেই। কাজেই সব সময় নোট করে পড়ুন। সেই সাথে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোর সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন। সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো খাতায় টুকে রাখুন।

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top