সিভি তৈরিতে বর্জনীয় ৮ বিষয়

মো: বাকীবিল্লাহ


[dropcap]চা[/dropcap]করি পাওয়ার আগে চাকরিদাতা আপনার সম্পর্কে ধারণা করেন আপনারই দেয়া সিভির মাধ্যমে। আপনাকে চাকরির ব্যাপারে কথা বলতে বা ভাইভার জন্য ডাকা হবে কি-না তা নির্ধারিত হবে আনার সিভি দেখেই। তাছাড়া যাকে চাকরি দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে চাকরিদাতা তার সম্পর্কে জানতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। আপনারও জানানো উচিত তাকে। কিন্তু সব কিছুরই একটা পদ্ধতি রয়েছে। সিভি তৈরি করতে গিয়ে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত। নতুবা সেটি উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি করতে পারে। আসুন বিষয়গুলো জেনে নিই।

০১. অপ্রয়োজনীয় তথ্য সম্বলিত বড় সিভি
অনেকের ধারণা, সিভি যত বেশি পাতার হবে চাকরিদাতা তত বেশি খুশি হবেন। ব্যাপারটি মোটেই সত্যি না। মনে রাখবেন, চাকরির জন্য আপনি একা দরখাস্ত করেননি। আরো অনেকে রয়েছেন। তাই আপনার সম্পর্কে যেটা না জানালেই নয় সেটাই রাখুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সিভি বাছাইয়ে প্রাথমিকভাবে মাত্র ৬ সেকেন্ড সময় নেন রিক্রুটমেন্ট অফিসার। যদি আপনাকে পছন্দ হয়, তবেই কথা এগোবে। তাই বুঝতেই পারছেন সঠিক ও সংক্ষিপ্ত সিভি আপনাকে সাফল্যের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে পারে।

০২. অনেক জায়গার অভিজ্ঞতা
আপনি অনেক সংস্থায় কাজ করেছেন। আপনার প্রচুর অভিজ্ঞতা। সবই ঠিক আছে। কিন্তু এটাও মনে রাখবেন, যত বেশি সংস্থায় আপনি কাজ করেছেন আপনি তত বার চাকরি পাল্টেছেন। বিষয়টি কিন্তু চাকরিদাতার নজর এড়াতে না-ও পারে। তাই বুঝে শুনে অভিজ্ঞতার কথা লিখুন। আর খুব অল্প দিনের জন্য কাজ করার অভিজ্ঞতা না দেয়াই ভালো।

০৩. কিছু ব্যক্তিগত তথ্য
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আপনি বিবাহিত কিনা, আপনার শখ, আপনার ধর্ম কী— এ ব্যাপারে চাকরিদাতারা সাধারণত খুব বেশি আগ্রহী হবেন। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা দরকার হতে পারে। তাই আগে ভাবুন, এসব তথ্য আপনার পছন্দের চাকরির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি-না? ব্যক্তিগত ব্যাপারে জানার থাকলে ভাইভার সময় আপনাকে জিজ্ঞাসা করে নেয়া হবে। তাই বিষয়গুলো উল্লেখ করার দরকার নেই।

০৪. মিথ্যা বা ভুল তথ্য
কখনোই না। ভীষণ খারাপ অভ্যাস এটা। চাকরিদাতাকে বোকা ভাবলে খালি হাতেই ফিরতে হবে আপনাকে। তাই কখনো মিথ্যা বা ‍ভুল তথ্য লিখবেন না। মনে রাখবেন, মিথ্যা তথ্য ধরা পড়ে গেলে চাকরি হওয়ার পরেও তা বাতিল হতে পারে।

০৫. বর্তমান চাকরির যাবতীয় তথ্য
নতুন চাকরির খোঁজে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন। তাই বলে বর্তমান কর্মক্ষেত্রের যাবতীয় তথ্য সিভিতে লেখার কোনো কারণ নেই। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না যে, চাকরি খোঁজার খবর আপনার অফিসেও পৌঁছে যাক বা এ ব্যাপারে অফিসেই আপনাকে ফোন করা হোক।

০৬ বেতন-ভাতা
আগে আপনার কাজ এবং অভিজ্ঞতা। সেটা যদি পছন্দ হয় তবেই বেতন-ভাতার প্রসঙ্গ। তাই সিভিতে ওটা দেয়ার প্রয়োজন নেই। আপনাকে পছন্দ হলে এমনিতেই চাকরিদাতা আপনার কাছে চেয়ে নেবেন।

০৭. কেন চাকরি পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন
আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। যদি কোনো সমস্যা থেকেও থাকে, সেটা বলার জন্য ইন্টারভিউকে ব্যবহার করুন। অযথা আগ বাড়িয়ে বলতে গেলে অহেতুক সমস্যায় জড়াতে পারেন।

০৮. নিজের সম্পর্কে বাগাড়ম্বর
‘আমি এটা করেছি’, ‘আমি খুব মোটিভেটেড’, ‘আমার যোগাযোগ দক্ষতা খুব ভালো’ ইত্যাদি বাগাড়ম্বর করবেন না। আপনি কী বা কে সেটা ইন্টারভিউ নেয়ার সময় চাকরিদাতা দেখবেন। তাই আগ বাড়িয়ে সিভিতে নিজের গুণ-কীর্তনের দরকার নেই

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top