অল্প সময়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার উপায়

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় কী আছে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসারে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। কী আছে এই বিধিমালায়? কোন প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ করা হয়?

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ

শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ থেকে দেখা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৬৫ শতাংশ পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। বাকি ৩৫ শতাংশ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে নেওয়া হয়। তবে পদোন্নতির জন্য যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হয়।

প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক পদে প্রশিক্ষণসহ কমপক্ষে সাত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আর সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। আবেদনের বয়সসীমা ২১-৩০ বছর।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ যেভাবে হয়

সহকারী শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে সব পদ পূরণ করা হয়। এ পদে আবেদনের জন্য স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। বয়স হতে হবে ২১-৩০ বছরের মধ্যে।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোটা ব্যবস্থা

নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসারে, সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা ও ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা। এই তিন কোটার প্রতিটি ক্যাটাগরিতে অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে এভাবে তিন কোটায় বিজ্ঞান বিষয়ের যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে।

নারী, পোষ্য ও পুরুষ কোটা পূরণের ক্ষেত্রে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে কোনো বিশেষ শ্রেণির কোটা নির্ধারিত থাকলে সেই কোটাসংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

পোষ্য কোটার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন বা ছিলেন, এমন শিক্ষকের অবিবাহিত সন্তান, যিনি সেই শিক্ষকের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। শিক্ষকের বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী বা তালাকপ্রাপ্ত কন্যা, যিনি সেই শিক্ষকের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল, এমন প্রার্থীরা পোষ্য কোটার সুবিধা পাবেন।
বিশেষ বিধান-৮ (২) অনুসারে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে উপজেলা ও থানাভিত্তিক কোটা মানা হবে। উপজেলা বা থানাভিত্তিক শূন্যপদ অনুযায়ী কোনো কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী একই উপজেলা বা থানার উত্তীর্ণ সাধারণ প্রার্থীদের দিয়ে পদ পূরণ করতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষকদের শিক্ষানবিশকাল কয় বছর?

বিধান-৬ (১) অনুযায়ী, সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগের তারিখ থেকে দুই বছর শিক্ষানবিশকাল হিসেবে গণ্য হবে। শিক্ষানবিশকালে যদি দেখা যায়, তাঁর কর্মদক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাহলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ চাকরিচ্যুতি করতে পারবে।

বদলির সুযোগ

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজ জেলা ও উপজেলায় নিয়োগ দেওয়া হয়। অন্য বিভাগে বদলির সুযোগ কম। বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন কোনো শিক্ষক জীবনঘাতী রোগে আক্রান্ত হলে তাঁর চিকিৎসার সুবিধার্থে অন্যত্র বদলি করার সুযোগ আছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) অনুসারে, প্রতি শিক্ষা বছরের জানুয়ারি-মার্চ মাসের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের একই উপজেলা/থানা, আন্ত-উপজেলা/থানা, আন্তজেলা, আন্তবিভাগ ও যেকোনো উপজেলা/জেলা থেকে সিটি করপোরেশনে বদলি করা যাবে।

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top