চাকরি দক্ষতা

৮টি চাকরি দক্ষতা যা অবশ্যই আপনার থাকা উচিত

আপনি যে কাজই করেন না কেন, চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগ কর্তারা সাধারণ কিছু দক্ষতা চান। যেগুলোকে কখনো ‘এমপ্লয়াবিলিটি স্কিল’, আবার কখনো ‘সফট স্কিল’ বলা হয়। বাংলায়, চাকরি দক্ষতা বলা যায় একে। এ দক্ষতাগুলো আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে।

আপনার হয়তো মনে হতে পারে যে, আমার তো চাকরির কোনো দক্ষতাই নেই। কিন্তু, না। আপনার ভেতরে অবশ্যই কিছু দক্ষতা আছে। সেই দক্ষতাগুলো খুঁজে পাওয়া যাবে যদি আপনি হন-

  • নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত
  • বন্ধুত্বপূর্ণ ও দরদী
  • নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী

চাকরির এ দক্ষতাগুলো অবশ্য অনেক সময় বিজ্ঞাপনে উল্লেখ থাকে না। তবে এগুলো প্রায় সব কাজের ক্ষেত্রেই দরকার হয়। সেজন্য আপনি চাকরির আবেদনের আগে এই দক্ষতাগুলো সম্পর্কে একটু ভাবুন। দেখুন তো, কী কী দক্ষতা আছে আপনার মধ্যে? কোনোটি না থাকলে তা অর্জন করুন। কমতি থাকলে তা বৃদ্ধি করুন।

ভাবছেন- কিভাবে করবেন? তাই তো?

সমস্যা নেই। এই নিবন্ধে শুধু দক্ষতাগুলো নিয়েই আলোচনা করব না। বরং সেগুলো কিভাবে অর্জন করবেন বা বৃদ্ধি করা যায়, সে উপায়ও বাতলে দেবো। তাহলে লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আর মিলিয়ে নিন আপনার সাথে।

স্কিল বা দক্ষতা কী?

দক্ষতার সংজ্ঞা হচ্ছে-  একটি প্রতিভা বা সক্ষমতা, যা প্রশিক্ষণ বা অনুশীলনের দ্বারা অর্জিত হয়। সুক্ষ্ম শিল্পকর্ম দক্ষতার একটি উদাহরণ। যেমন- ঝুড়ি বুনন, চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি।

দক্ষতাগুলো সাধারণত অর্জন করা বা শেখা যায়। অন্যদিকে অ্যাবিলিটি বা সামর্থ অনেকটা জন্মগত বলে মনে করা হয়। �

দক্ষতাকে অনেকে তিনভাগে ভাগ করেন। ফাংশনাল বা ক্রিয়ামূলক, স্ব-ব্যবস্থাপনা ও বিশেষ জ্ঞান।

চাকরি দক্ষতার সংজ্ঞা

চাকরি দক্ষতা হলো কর্মক্ষেত্রে একজন কর্মীর  দায়িত্ব পালনের  ক্ষেত্রে বিশেষ সক্ষমতা বা সামর্থ। এগুলো পাঠ্যক্রম, অভিজ্ঞতা বা আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের দ্বারা শেখা যেতে পারে। যথাযথ চাকরি দক্ষতার মাধ্যমে কর্মীরা তাদের কাজগুলো সুচারু ও কার্যকরভাবে সম্পন্ন করতে পারে।

চাকরিদাতারা দুই ধরনের দক্ষতা খোঁজ করেন। সফট স্কিল ও হার্ড স্কিল।

সফট স্কিল – একে স্থানান্তরযোগ্য দক্ষতাও বলা হয় যা আপনি জীবনের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে পেতে পারেন। যেমন – যোগাযোগ।

হার্ড স্কিল- হচ্ছে নির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, যেগুলো কাজ, শেখা বা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পাওয়া যায়।

চাকরি দক্ষতা ও তা অর্জনের উপায়

একেকজন একেকভাবে হয়তো এই দক্ষতাগুলোকে সংজ্ঞায়িত করতে পারেন। কিন্তু আমি মোটাদাগে সেগুলোকে ৮ ভাগে ভাগ করবো।

  • যোগাযোগ (communication)
  • দলগত কাজ (Teamwork)
  • সমস্যা সমাধান (problem solving)
  • উদ্যোগ ও কর্মপ্রচেষ্টা (initiative and enterprise)
  • পরিকল্পনা ও সংগঠন (planning and organizing)
  • আত্ম-ব্যবস্থাপনা (self-management)
  • শেখা (learning)
  • প্রযুক্তি (technology)

এবার আসুন, বিয়গুলি একটু ব্যাখ্যা করি।

১. যোগাযোগ

কাজভেদে যোগাযোগের অর্থটা ভিন্ন হতে পারে। তবে মূল কথা হচ্ছে- আপনি যখন কিছু বলেন বা লেখেন, তখন এর দ্বারা আপনি কী বোঝাতে বা অর্জন করতে চাচ্ছেন, সেটা পরিষ্কার হওয়া। অন্য কেউ কী বললেন, সেটা শুনে বুঝতে পারাও যোগাযোগ দক্ষতার অন্তর্ভুক্ত।

অ-মৌখিক ভাষাও এই যোগাযোগ দক্ষতার মধ্যে পড়ে। যেমন- শারীরিক ভাষা বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- হাত বা চোখ দিয়ে ইশারায় কাউকে কাছে ডাকা।

যোগাযোগ দক্ষতা অর্জন বা বাড়ানোর কিছু উপায়-

  • লেখাপড়ার অংশ হিসেবে অ্যাসাইনমেন্ট বা রিপোর্ট লেখা
  • ব্লগিং বা সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখি
  • ক্লাসকার্যক্রমের অংশ হিসেবে মৌখিক উপস্থাপনা
  • যেকোনো বিষয়ে মতামতধর্মী ভিডিও রেকর্ড করে তা ইউটিউব বা ফেসবুক টাইমলাইনে প্রকাশ করা
  • গ্রাহকসেবা বা ফ্রন্ট ডেস্কে কাজ করা (মুখোমুখি বা ফোনে)
  • কোনো ক্লাব বা সংগঠনে যুক্ত হওয়া
  • নিজের শারীরিক ভাষার প্রতি খেয়াল রাখা

২. টিমওয়ার্ক বা দলগত কাজ

টিমওয়ার্ক বা দলগত কাজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি চাকরি দক্ষতা । টিমওয়ার্ক বা দলগত কাজ মানে হলো- অন্য মানুষের সাথে কাজ করার সক্ষমতা। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বা ফলাফল অর্জনের জন্য যৌথ বা দলগতভাবে প্রচেষ্টা চালানো।

টিমওয়ার্ক দক্ষতা অর্জন বা তা বাড়ানোর কিছু উপায়-

  • ক্লাস কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গ্রুপ অ্যাসাইনমেন্ট করা
  • সামাজিক সংস্থাগুলোর ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করা
  • কর্মক্ষেত্রে অন্যদের সাথে কিভাবে সুন্দরভাবে কাজ করা যায় তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা
  • কোনো স্পোর্টস টিমে অংশ নেয়া
  • পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের নিয়ে প্রতিবেশীদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা পাড়া মহল্লায় কোনো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা

৩. সমস্যা সমাধান বা প্রবলেম সলভিং

প্রবলেম সলভিং স্কিল বা সমস্যা সমাধানের দক্ষতার মানে হলো- আপনি যখন কোনো বিরূপ পরিস্থিতি বা অসুবিধার সম্মুখীন হন, তখন সমাধান খুঁজে বের করতে পারা। এ দক্ষতা মূলত সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে, যৌক্তিক ও বৈধ পদ্ধতি ব্যবহার করার সক্ষমতা।

প্রবলেম সলভিং স্কিল তথা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জন বা বাড়ানোর কিছু উপায়-

  • লেখাপড়ার অংশ হিসেবে গবেষণামূলক অ্যাসাইনমেন্ট করা
  • কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন অভিযোগ নিষ্পত্তিতে অংশ নেয়া
  • প্রবলেম সলভিং স্কিল সংক্রান্ত কোনো কোর্সে অংশ নেয়া
  • যারা বিভিন্ন সময় সমস্যা সমাধান করেছেন, এমন লোকদের সাথে কথা বলা
  • পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিজেই সমাধান করতে চেষ্টা করা
  • ঘরের টুকটাক জিনিসপত্র ইউটিউব দেখে নিজেই মেরামত করতে চেষ্টা করা
  • বিভ্ন্নি ধাঁধা কৌশলী প্রশ্নের উত্তর বের করা

৪. উদ্যোগ ও এন্টারপ্রাইজ (initiative and enterprise)

এ দক্ষতার মানে হচ্ছে- যে কাজগুলো করা দরকার, তা খুঁজে বের করা এবং কাউকে জিজ্ঞাসা না করেই শুরু করে দেয়া। এছাড়া কোনো কাজ যে পদ্ধতিতে করা হচ্ছে, সৃজনশীলতার সাথে সে পদ্ধতির উন্নতি সাধনও এ দক্ষতার অন্তর্ভুক্ত।

এই দক্ষতা তৈরি বা বাড়ানোর কিছু উপায়-

  • কোনো সামাজিক বা ব্যবসায়িক সংস্থায় ইন্টার্নশিপ করা
  • লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনার মতো সামাজিক উদ্যোগ নেয়া
  • সামাজিক কোনো তহবিল স্থাপন করা
  • নিজে উদ্যোগী হয়ে সামাজিক জরুরি কোনো কাজ সম্পন্ন করা
  • আপনার টিমের কাজকে আরো সুন্দর করার জন্য প্রস্তাবনা পেশ করা
  • কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা না করেই ঘরের প্রয়োজনীয় কিছু কাজ করে ফেলা

৫. পরিকল্পনা ও সংগঠন (planning and organizing)

পরিকল্পনা ও সংগঠন দক্ষতা হচ্ছে- আপনার করা দরকার এমন কাজগুলো চিহ্নিত এবং সেগুলো কিভাবে করবেন তার একটি রূপরেখা তৈরি করা। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজটি শেষ করাও এ দক্ষতার অন্তর্ভুক্ত।

পরিকল্পনা ও সংগঠন দক্ষতা অর্জন ও বৃদ্ধির কিছু উপায়-

  • পড়াশোনা বা দৈনন্দিন কাজের একটি সময়সূচি তৈরি ও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা
  • নিজে নিজে আপনার পাশের শহর বা জেলা কিংবা দেশের কোনো পর্যটন এলাকা ভ্রমণ, সম্ভব হলে বিদেশ ভ্রমণ করা
  • আপনার কাজ, পড়াশোনা ও পারিবারিক দায়িত্ব পালনের সময় ব্যবস্থাপনা
  • সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনে সাহায্য করা
  • পারিবারিক গেট-টুগেদারের আয়োজন করা

৬. আত্ম-ব্যবস্থাপনা (self-management)

আত্ম-ব্যবস্থাপনা মানে-

  • কারো তদারকি ছাড়াই আপনার কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হওয়া
  • নিজের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারা
  • নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনে অন্যকে কাজটি হস্তান্তর করা

আত্ম-ব্যবস্থাপনা দক্ষতা অর্জন ও বৃদ্ধির কিছু উপায়-

  • ইনটার্নশিপ বা অস্থায়ী চাকরির মাধ্যমে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন
  • কর্মস্থলে নতুন কোনো দায়িত্ব চাওয়া ও তা পালন করা
  • পড়াশোনার একটি সময়সূচি তৈরি ও তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন
  • স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় যোগ দেয়া
  • নিজের রুম বা ঘর গোছালো ও পরিপাটি রাখা

৭. শিখন (learning)

শিখন দক্ষতা বলতে বোঝায় নতুন কিছু জানা ও বোঝা এবং তা দ্রুত আত্মস্থ করতে চাওয়া। এছাড়া নতুন কাজ নেয়া ও পরিবর্তনের সাথে খাপ খেয়ে চলতে সক্ষমতাও এ দক্ষতার মধ্যে পড়ে।

শিখন দক্ষতা অর্জন ও তা বৃদ্ধির কিছু উপায়-

  • কোনো শর্ট কোর্স বা অনলাইন কোর্স করা
  • যে দক্ষতা অর্জন বা কোর্স করতে চান, তা নিয়ে গবেষণা বা অনুসন্ধান চালানো
  • নতুন কোনো শখ বাছাই
  • ক্রীড়া বা স্বেচ্ছাসেবা দলে অংশ নেয়া
  • রান্নাবান্নার মতো যে কোনো নতুন দক্ষতা নিজে নিজে অর্জনের চেষ্ট করা

৮. প্রযুক্তি

প্রযুক্তি দক্ষতা বলতে কম্পিউটার, ট্যাব বা স্মার্টফোন ব্যবহারের সক্ষমতাকে বোঝায়। কম্পিউটারে এমএস ওয়ার্ডে লেখালেখি, এক্সেলের মাধ্যমে ডাটা প্রসেসিং, পাওয়ার পয়েন্টে প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পারা জরুরি। তাছাড়া বর্তমানে গ্রাফিক ডিজাইন ও ভিডিও সম্পাদনার মৌলিক দক্ষতা  আপনাকে অন্য সবার চেয়ে চাকরিক্ষেত্রে এগিয়ে রাখবে নিসন্দেহে। ফটোকপিয়ারের মতো অফিস যন্ত্রপাতির ব্যবহার করতে পারাও প্রযুক্তি দক্ষতার মধ্যে পড়ে।

প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জন ও তা বৃদ্ধির কিছু উপায়-

  • শর্ট কোর্স বা অনলাইন কোর্স করা
  • ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও আছে, সেগুলো দেখে নিজে নিজে শেখা
  • অফিস কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আয়োজনের অনুরোধ করা
  • আপনার দৈনন্দিন জীবনে ইতিমধ্যে ব্যবহার করেছেন, এমন প্রযুক্তিগুলোর একটি তালিকা তৈরি
  • আপনার কাজের সাথে সম্পৃক্ত প্রযুক্তিগুলো খুঁজে বের করা এবং তার ব্যবহার সম্পর্কে জানা

এবার নিশ্চয়ই আপনার চাকরি দক্ষতাগুলো চিহ্নিত করতে পেয়েছেন। সেগুলোকে আরো উন্নত করুন। আপনার চাকরির দরখাস্তে বা সিভিতে তা হাইলাইট করুন।

আপনার চাকরি দক্ষতা মূল্যায়ন

যখন আপনার দক্ষতা চিহ্নিত করবেন এবং উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেবেন, তখন আপনার কাঙ্খিত চাকরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সফট ও হার্ড স্কিলগুলোর কথা মাথায় রাখুন।�

আপনার বর্তমান দক্ষতাগুলো চিহ্নিত করতে আপনি নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন।

ক. আপনার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে চিন্তা করুন। কোন চাকরি বা কাজের অভিজ্ঞতা আপনার আছে এবং সেখানে কী কী দক্ষতা ছিল।

খ. আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো করে চেনেন, এমন লোকদের সাথে কথা বলুন।  অন্যরা হয়তো আপনার দক্ষতা সম্পর্কে ভালো বলতে পারবেন।

গ. আপনার শক্তিমত্তা ও দুর্বলতার একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন।

কিভাবে আপনার চাকরি দক্ষতা উন্নত করবেন?�

ইতোমধ্যেই চাকরি দক্ষতা উন্নয়নের বেশ কিছু কৌশল এই প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে। মোটা দাগে বলতে গেলে, আপনি বিশেষ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অনলাইন বা অফলাইনে কোনো প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারেন। আবার সফট স্কিলগুলো অর্জনের জন্য বিভিন্ন সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডে অংশ নেয়া, ইন্টার্নি করা যেতে পারে।�

প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম ও ইন্টার্নিশিপে অংশ নেয়ার পর সেখানকার সার্টিফিকেট আপনার চাকরির সিভির সাথে যুক্ত করে আবেদন করুন।

পরিশেষে বলবো, চাকরি দক্ষতা অর্জনের জন্য ছাত্রজীবন থেকেই চেষ্টা করুন। শুধু পড়াশোনার ভেতরে না কাটিয়ে সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় অংশ নিন, কাজ করুন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনে কোনো ধরনের সম্মানী বা বেতন ছাড়াই কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। কোর্স করুন, দক্ষতা অর্জন করুন।

এরপর চাকরি খুঁজুন। নিশ্চিত করে বলতে পারি চাকরি আপনার হবেই। আর চাকরি না করতে চাইলে, অর্জিত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে হয়ে উঠুন উদ্যোক্তা। আর শত শত মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করুন। আপনার জন্য শুভ কামনা।

সূত্র : Skill Types

 

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top