২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার শাহবাগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারীকে পুলিশ আটক করে। (ফাইল ছবি)

চাকরিতে প্রবেশের বয়স না বাড়ানোর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর যে যুক্তি

ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্স :  দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি অনেক দিনের। এ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। কিন্তু কেন সরকার তা মেনে নেয়নি সেনিয়ে যুক্তি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি চীন সফর নিয়ে প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হলে তখন “করুণ অবস্থা হবে”।

তিনি যুক্তি দেন – এখন দেরিতে হলেও ১৬ বছরে এসএসসি এবং ১৮ বছরে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করতে পারেন একজন শিক্ষার্থী। এরপর চার বছর অর্নাস এবং এক বছর মাস্টার্স শেষ করতে ২৩ বছর লাগে। আরো এক-দুই বছর দেরি হলেও ২৪-২৫ বছর লাগতে পারে। এরপরও এই দাবি মেনে নেয়া সম্ভব কি-না, আপনারা জবাবটা নিজেরা ঠিক করে নেন -বলেন শেখ হাসিনা।

পিএসসি থেকে তিন বছরের বিসিএস পরীক্ষায় পাসের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে তিনি আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। তার দেয়া ডেটা অনুযায়ী, ৩৫তম, ৩৬তম এবং ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষায় ২৯ বছর বা তার উর্ধ্বে পাস করা পরীক্ষার্থীর হার যথাক্রমে ৩.৪৫ শতাংশ, ৩.২৩ শতাংশ এবং ০.৬১ শতাংশ।

“এখন ৩৫ বছর হলে অবস্থা টা কী দাঁড়াবে বুঝিয়ে বলেন,” সাংবাদিকদের বলেন তিনি। তিনি বলেন, “তখন তো বিয়ে-শাদি হবে, ছেলে-মেয়ে হবে, বউ সামলাতে হবে, ঘর সামলাতে হবে আর পরীক্ষা দিতে হবে। তখন তো আরো করুণ অবস্থা হবে!”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কাজ করবার তো একটা সময় থাকে, একটা এনার্জি থাকে। কিন্তু ৩৫ বছরে চাকরির পরীক্ষা দিলে রেজাল্ট, ট্রেনিং শেষ করে যোগ দিতে দিতে ৩৭ বছর লাগবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

“একটা সরকার তাহলে কাদের দিয়ে চালাব,” প্রশ্ন রাখেন তিনি।

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top