যে ৫ অভ্যাস আপনার ব্রেইনকে দুর্বল করে দেয়

মেহেনাজ বিনতে আমিন::::::::

দেহের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ব্রেইন। কারণ আমাদের দেহের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রক্ষা আর পরিচালনার কাজটি সম্পাদিত হয় এই ব্রেইনের মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের কিছু বাজে অভ্যাস বা কাজের মাধ্যমে নিজের অজান্তেই এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটির কোনো ক্ষতি করে ফেলছি না তো?

ব্রেইনের স্ট্রাকচার এমনভাবে সাজানো, আমাদের কাজের মাধ্যমে এর কার্যকারিতা যেমন বাড়তে পারে ঠিক একইভাবে কিছু বাজে অভ্যাসের মাধ্যমে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারে। শুধু তাই নয়, নানা রকমের শারীরিক জটিলতাও তৈরি হতে পারে।

World Health Organization-এর মতে যে ৫টি কাজ করলে ব্রেইনের ক্ষতি হতে পারে সেগুলো হচ্ছে–

১. সকালের নাস্তা না করা

দিনের শুরুতেই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে সকালের নাস্তা ঠিকভাবে করা। কিন্তু ব্যস্ততা কিংবা ক্লাস মিস যাওয়ার ভয়ে আমরা অনেকেই ঘুম থেকে উঠেই কাজে বা ক্লাসে চলে যাই। আর এই কাজটা এতটাই স্বাভাবিকভাবে করি এই ভেবে যে, দুপুরে তো খেয়েই নিচ্ছি, কিন্তু এই ভাবনাটাই আপনার ব্রেইনের কর্মক্ষমতাকে অল্প বয়সেই নষ্ট করে দেয়। সারা রাত না খেয়ে থাকার পরে সকালের নাস্তা ছাড়াই যখন আপনি কাজে যোগ দেন, তখন ব্রেইন যথাযথ নিউট্রিশন পায় না, আর প্রতিনিয়ত এটা করতে থাকার ফলে সময়ের সাথে আপনার ব্রেইন ক্ষয় হওয়া শুরু করে। যা স্মরণশক্তি কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।

২. কম ঘুমানো

সারাদিনের কাজ আমাদের শরীরে যে পরিমাণ স্ট্রেস নিয়ে আসে ঘুম সেটা কমিয়ে ব্রেইনকে শ্রান্তি দেয়। ঘুম কম হলে আমাদের ব্রেইন সেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এতে ব্রেইনের কার্যকারিতা কমে যায়।

৩. অতিরিক্ত কোমল পানীয়

দিনে অন্তত একবার কোমল পানীয় পান করা অনেকের কাছে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এসব কোমল পানীয়তে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে যা ব্রেইন ক্ষয়ের আরেকটি প্রধান কারণ। অতিমাত্রার চিনি দেহকে নিউট্রিশন শোষনে বাধা দেয়, ফলে আমাদের মস্তিষ্ক যতটুকু পুষ্টি দরকার তা পায় না। আর এভাবেই আপনার অজান্তেই আপনার মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই অতি মাত্রায় কোমল পানীয় সেবন থেকে বিরত থাকা উচিত।

অতিরিক্ত চিনি আপনার ব্রেইনকে দুর্বল করে দিতে পারে
অতিরিক্ত চিনি আপনার ব্রেইনকে দুর্বল করে দিতে পারে

৪. মাথা ঢেকে ঘুমানো

অনেকেরই ঘুমানোর সময় কাঁথা মুড়ি দিয়ে অথবা বালিশ মাথার উপর চেপে ঘুমানোর অভ্যেস থাকে। কিন্তু অদ্ভুত হলেও এটা সত্যি যে, এই অভ্যাসটি পরিমিত অক্সিজেন গ্রহণে বাধা দেয়। এছাড়া ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব ব্রেইনের কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পাদনে বাধা দেয়। আর এভাবে মস্তিষ্কের স্মৃতি ধরে রাখার ক্ষমতা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। পড়া মুখস্ত করলেও দ্রুত ভুলে যাওয়ার জন্যে দায়ী হতে পারে এই মারাত্মক অভ্যাসটি। যা নিজের অজান্তেই প্রতিনিয়ত হয়তো করে যাচ্ছেন অনেকেই।

৫. অসুস্থতার সময়েও জোর করে পড়া বা কাজ করা

অসুস্থতার সময় আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে দুর্বল অবস্থায় থাকে। এ সময় মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ দিয়ে কাজ করতে গেলে সেই কাজটা হয়তো হয়ে যাবে, কিন্তু একটি সুদূরপ্রসারী আর স্থায়ী খারাপ প্রভাব আপনার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেবে। অসুস্থতার সময় আমাদের শরীরের বাইরের অংশের সাথে সাথে ভেতরের অংশগুলোরও বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। আর পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবে ব্রেইন সেল বিনষ্ট হয়ে ব্রেইনের কাজ করার সামর্থ্য কমিয়ে দেয়। তাই সময় থাকতে এ অভ্যাসটিও ত্যাগ করা উচিত।

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top