যেভাবে ছিনিয়ে নেবেন চাকরিটি!

getting-a-new-jobআরিফুল ইসলাম

কোনো প্রস্তুতি ছাড়া ভাইভার সম্মুখীন হয়ে তাতে ব্যর্থ হওয়া মানসিক অবসাদগ্রস্থ হওয়ার অন্যতম কারণ। যা আপনার আত্মবিশ্বাসের মাত্রা অনেক নিচে নামিয়ে দিতে পারে। আপনাকে করে তুলতে পারে হতাশাগ্রস্থ। এজন্য একজন চাকরি প্রার্থীর ভাইভা দিতে যাওয়ার আগে করণীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ রয়েছে। যা ইন্টারভিউকে সহজ ও প্রাণবন্ত করে তোলে এবং পরবর্তী ইন্টারভিউতে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলে।

১. কমপক্ষে ১০ মিনিট আগে ভাইভার স্থানে উপস্থিত হওয়া
নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ১০ মিনিট আগে আপনাকে নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হতে হবে। যা আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দিবে। ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন। সর্বশেষ দেখে নিন আপনার ড্রেসআপ ঠিক আছে কিনা?

২. রাতেই সব প্রস্তুতি শেষ করা
ভাইভার আগের রাতের মধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করুন। সকালে একটু আগেভাগেই ঘুম থেকে উঠে পড়ুন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে চোখ বুলিয়ে নিন। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা নিন। এটা আপনাকে অতিরিক্ত মানসিক চাপ এড়াতে সহযোগিতা করবে।

৩. নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করা
ভাইভা গ্রহণকারীকে প্রাধান্য দিয়েই তার সামনে নিজেকে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করুন। এতে করে চাকরিদাতা আপনার পেছনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। যা আপনার চাকরি পেতে ইতিবাচক কাজ করবে।

৪. চাকরির ব্যাপারে প্রবল আগ্রহ দেখানো
এটা চাকরিদাতাকে মৌখিক বা অঙ্গভঙ্গিতে বোঝাতে পারেন। আগ্রহী মনোভাব চাকরিদাতার কাছে আপনার মূল্যায়ন বাড়িয়ে দিতে পারে।

৫. বিস্তারিতভাবে প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা
চাকরিদাতার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলা থেকে বিরত থাকুন। সুযোগ পেলেই বিস্তারিত উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন। যা আপনার বিচক্ষণতা সম্পর্কে ইন্টারভিউ গ্রহণকারীর কাছে ইতিবাচক ধারণা দিতে সহযোগী হবে।

৬. জীবন-বৃত্তান্তের অতিরিক্ত একটি কপি সাথে রাখা

কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর প্রস্তুত রাখুন
– আপনার সম্পর্কে বলুন।
– আপনার কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছু বলুন।
– আপনার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো বলুন।
– আপনি কেন আমাদের কোম্পানির সাথে কাজ করতে চান?

এছাড়াও যে সব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন
– কোম্পানির কাছে আপনি কি আশা করেন?
– এই পজিশনে আপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী?
– আপনি কি এই পজিশনের জন্য আপনাকে উপযুক্ত মনে করেন?

আপনি যদি চাকরিটির জন্য প্রকৃতপক্ষেই আগ্রহী হন তবে যে কোনোভাবে চাকুরিদাতাকে এটা বোঝাতে চেষ্টা করুন। মনে রাখা উচিৎ, কোম্পানির কোনো ব্যাপারে আগ্রহের ঘাটতি থাকা মানেই চাকরিটি প্রত্যাখ্যান করা।

সবশেষে ইন্টারভিউয়ারদের ধন্যবাদ জানাতে ও আত্মবিশ্বাসের সাথে করমর্দন করতে ভুলে যাবেন না।

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top