মনবুকাগাসু বৃত্তি নিয়ে জাপানে পড়ার সুযোগ

প্রতি বছর জাপান সরকারের বৃত্তি কর্মসূচির অধীনে জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সারাবিশ্বের শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। পূর্বে এটি মনবুশো বৃত্তি নামে পরিচিত ছিল। এ কর্মসূচি পরিচালনা করে জাপানের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। যেসব দেশের সাথে জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে মূলত: সেসব দেশের নাগরিকরাই এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন। ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বৃত্তির অধীনে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ১৬০টি দেশের প্রায় ৬৫০০০ শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মাহমুদুল হাসান

বৃত্তির ধরন
জাপান সরকার প্রদত্ত এ বৃত্তি ৭ ধরনের হয়ে থাকে। যেমন-

গবেষণা শিক্ষার্থী
আপনার বয়স অবশ্যই ৩৫ বছরের নিচে এবং স্নাতক পাস হতে হবে। মাস্টার্স, এমফিল বা পিএইচডি’র জন্য আবেদন এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে করতে হবে। পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাস করলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই জাপানি ভাষায় অধ্যয়নে ইচ্ছুক হতে হবে। তবে এমফিল বা পিএইচডি’র মতো উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে গবেষণার সুযোগ থাকলেও জাপানি ভাষা না জানা থাকলে বৃত্তি পাওয়া যাবে না।

শিক্ষক প্রশিক্ষণ পর্যায়
৩৫ বছরের কম বয়সী যে কোনো প্রার্থীকে ন্যূনতম স্নাতক হতে হবে। অবশ্যই প্রাথমিক, মাধ্যমিক বা টিচার ট্রেনিং কলেজে শিক্ষক হিসেবে ৫ বছরের কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকেরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী
এ ক্ষেত্রে আপনার বয়স কমপক্ষে ১৭ থেকে সর্ব্বোচ্চ ২২ বছরের মধ্যে হতে হবে। এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হবে। তবে স্নাতক সম্পন্নকারীরাও আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই জাপানি ভাষায় অধ্যয়নে ইচ্ছুক হতে হবে।
প্রতিবছর দূতাবাসের সুপারিশে ১২০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনোটিতে ৪ বছরের স্নাতক প্রোগ্রাম শুরুর পূর্বে Osaka University Center for Japanese Language and Culture -এ ১ বছরের প্রস্তুতিমূলক প্রোগ্রাম করতে হবে।

জাপানিজ স্টাডিজ শিক্ষার্থী
আবেদনকারীদের অবশ্যই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এছাড়া নিজ দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানে জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতিতে আন্ডার গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকতে হবে। এ বিভাগে জাপানি ভাষা বা সংস্কৃতি ছাড়াও শিক্ষার্থীরা তাদের মূল অধ্যয়নের অংশ হিসেবে আরও কিছু বিষয়ে পড়তে পারবেন। যেমন- জাপানের প্রকৌশল, অর্থনীতি, কৃষি, স্থাপত্য প্রভৃতি। এ ক্যাটাগরিতে স্বল্পমেয়াদী স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রমোশন প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য JASSO(Japan Student Services Organization)-তে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই জাপানি ভাষায় ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।

প্রকৌশল কলেজের শিক্ষার্থী
আপনার বয়স অবশ্যই কমপক্ষে ১৭ থেকে সর্ব্বোচ্চ ২২ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং উচ্চমাধ্যমিক পাস হতে হবে। স্নাতকরাও আবেদন করতে পারবেন।

বিশেষ প্রশিক্ষণ কলেজ শিক্ষার্থী
আপনার বয়স ১৭ থেকে ২২ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং উচ্চমাধ্যমিক পাশ হতে হবে।

ইয়াং লিডার’স প্রোগ্রাম
আবেদনকারীদের অবশ্যই তরুণ জনপ্রশাসক হতে হবে। যারা নিজেদেরকে দেশের ভবিষ্যৎ জাতীয় নেতা হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালনের প্রত্যাশী তারাই এ ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহন করবেন। যাদের জনপ্রশাসনে ৩ থেকে ৫ বছরের কর্ম অভিজ্ঞতা আছে এমন স্নাতক পাস ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে কর্তৃপক্ষের সুপারিশের ভিত্তিতে বাছাই করা হবে।

বৃত্তির আবেদনে সুপারিশ ব্যবস্থা
বৃত্তির আবেদনে ইচ্ছুক প্রার্থীদের ৩টি সুপারিশ ব্যবস্থায় আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। যেমন-
দূতাবাসের সুপারিশ
আবেদনকারীদের প্রাথমিকভাবে দূতাবাস কর্তৃক বাছাই করা হয়। প্রাথমিক বাছাই হিসেবে লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা জুন থেকে আগস্টের মধ্যেই করা হয়। তারপর দূতাবাস নির্বাচিত প্রার্থীদের সেপ্টেম্বরের শুরুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাপানের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারিশ
গবেষণা শিক্ষার্থী (Research Students) এবং জাপানিজ স্টাডিজ ক্যাটাগরির শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট একচেঞ্জ প্রোগ্রামের মাধ্যমে জাপানি সরকারি, বেসরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই বাছাই করে থাকে। সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করে।

অভ্যন্তরীণ বাছাই
বেসরকারিভাবে অর্থায়নকৃত পূর্ণকালীন স্নাতকোত্তর ও চার বছর মেয়াদী স্নাতক শিক্ষার্থীদেরকে অভ্যন্তরীণ বাছাইয়ে বৃত্তির জন্য নির্বাচন করা হয় যা প্রতিবছর এপ্রিলেই শুরু হয়। জাতীয়, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাধ্যমে এ বাছাই কাজ সম্পন্ন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের বাছাই করে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বৃত্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠায়।

বৃত্তিতে প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা

১. ভাতা
২০১১ শিক্ষাবর্ষের ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক গবেষণা শিক্ষার্থীকে ১৫০,০০০ ইয়েন, মাস্টার্স প্রোগ্রাম ও প্রফেশনাল ডিগ্রী প্রোগ্রামের জন্য ১৫২,০০০ ইয়েন, ডক্টরেট প্রোগ্রামের জন্য ১৫৩,০০০ ইয়েন প্রদান করা হবে। গবেষণার জন্য প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত ২০০০ বা ৩০০০ ইয়েন বৃত্তি প্রদানের বিষয় বিবেচনা করা হয়। অবশ্য এই অর্থের পরিমান প্রতি বছরের বাজেটের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন হয়। যেসব শিক্ষার্থী তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ কারণ ছাড়া দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকবে তাদের এ অর্থ প্রদান করা হবে না।

২. যাতায়াত খরচ
জাপানে গমন: কর্তৃপক্ষের নির্বাচনের পর শিক্ষার্থীর বাসস্থানের নিকটবর্তী এয়ারপোর্ট থেকে নারিতা আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সাধারণ শ্রেনীর বিমান টিকিটের মূল্য প্রদান করা হবে। তবে শিক্ষার্থীর থাকার স্থান থেকে নিকটবর্তী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাতায়াতের খরচ, বিমানবন্দরের শুল্ক, বিমানবন্দরের চার্জসমূহ, বহির্গমনে বিশেষ কর এবং জাপানের মধ্যে ভ্রমণ খরচ প্রভৃতি শিক্ষার্থীকেই বহন করতে হবে (বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রের থাকার স্থান আবেদন ফরমে ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা থাকে)। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসলে ভ্রমণ ভাতার কোনো সুযোগ নেই।
জাপান থেকে যাতায়াত : আবেদন অনুযায়ী বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী যদি সর্বশেষ সময়ের মধ্যে তার দেশে ফিরতে পারে তবে তাকে নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার দেশের বিমানবন্দরে পৌছানোর সাধারণ শ্রেণীর বিমান টিকিট প্রদান করা হবে। তবে ভ্রমনের বীমা প্রিমিয়াম বৃত্তিপ্রাপ্তকে বহন করতে হবে।

৩. শিক্ষা ভাতা
বিশ্ববিদ্যালয়ে তালিকাভুক্তি, ভর্তিখরচ ও পরীক্ষা জাপান সরকার কর্র্র্তৃক প্রদান করা হবে। যদি অনিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে উচ্চ শিক্ষায় বৃত্তি পান তবে শিক্ষার্থীকেই পরীক্ষার ফিস প্রদান করতে হবে।

৪. আবাসন ব্যবস্থা
প্রথম বছরে কর্তৃপক্ষ বৃত্তিপ্রাপ্তের জন্য প্রস্তুতিমূলক প্রতিষ্ঠানের হলে থাকার ব্যবস্থা করবে বা প্রোগ্রাম কর্তৃপক্ষ অন্য ব্যবস্থা করবেন। প্রস্তুতিমূলক কোর্স শেষে আবাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে জাপানের এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন। প্রতিষ্ঠানটি বিদেশী শিক্ষার্থীদের হলগুলো পরিচালনা করে। টোকিও বা ওসাকা ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পান।
এছাড়া বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রয়েছে। রয়েছে বেসরকারি বোর্ডিং হাউজ। তবে আবেদনকারী সব ছাত্রের হলে ব্যবস্থা করা হয় না। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে।

বৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্যতা
শিক্ষাগত যোগ্যতা : আবেদনকারীকে কোনো জাপানি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা জাপানি বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকের সমপর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। একজন ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক সমপর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে বলে বিবেচিত হবে, যদি কোন প্রার্থী-
১৬ বছরের শিক্ষা সমাপ্ত করেছে বা করবে অথবা তার বয়স ২২ বছর বা তার বেশি। বাছাই পরীক্ষায় পাশ করেছেন এবং যার বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল্যায়ন রয়েছে।
জাপানে স্নাতকে ভর্তির জন্য আবেদনের সাথে যোগ্যতার সন্তোষজনক সনদপত্র অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী একজন ডক্টরেট কোর্স সমাপ্তকারীকে আবেদনের প্রয়োজন নেই।
জাপানি ভাষা
আবেদনকারীকে অবশ্যই জাপানি ভাষা শিখতে আগ্রহী হতে হবে। শিক্ষা ও গবেষনায় নিযুক্তির যোগ্যতা হিসেবে জাপানের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে।
স্বাস্থ্য
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার অধিকারী হতে হবে।
জাপানে পৌঁছা
বৃত্তিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত সেমিস্টারের শুরুর দুই সপ্তাহের মধ্যে জাপানে পৌঁছতে হবে। এ সময়ের মধ্যে জাপান পৌছাতে ব্যর্থ হলে যাতায়াত ভাতা প্রদান করা হবে না।
ভিসার প্রয়োজনীয় জিনিস
নির্বাচিত আবেদনকারীকে জাপানে যেতে অবশ্যই কলেজ স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হবে। জাপানে পৌঁছানোর পরে আবেদনকারী তার আবাসস্থল পরিবর্তন করলে জাপান সরকারের বৃত্তির জন্য সে অযোগ্য হবে।

পড়ার বিষয়
আবেদনকারীর এমন বিভাগে আবেদন করা উচিৎ যে বিষয়ে সে আগে পড়েছে বা এর সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে। জাপানে সাধারণত নিম্নোক্ত বিষয়ে বৃত্তি দেয়া হয়-
সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক
আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান, সাহিত্য, ইতিহাস, জাপানি ভাষা ইত্যাদি।
এগুলোই মূলত: স্নাতকে পড়ানো হয়। অন্যান্য ক্যাটাগরিভুক্ত বিষয়গুলো খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। তবে নন্দনতত্ত্ব, শিক্ষাবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, মিউজিক, ফাইন আর্টস প্রভৃতিও গবেষণার বিষয় হিসেবে মাস্টার্স ও পিএইচডিতে চালু আছে।

ন্যাচারাল সায়েন্স
বিজ্ঞান (গনিত, পদার্থ, রসায়ন), ইলেকট্রন ও ইলেকট্রনিক স্টাডিজ (ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং), মেকানিক্যাল স্টাডিজ (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, নেভাল আর্কিটেকচার, এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং), সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং), কেমিক্যাল স্টাডিজ (অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনডাস্ট্রিয়াল কেমিস্ট্রি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং অন্যান্য (মেটালারজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মার্কেন্টাইল মেরিন, বায়োটেকনোলজি)

এগ্রিকালচারাল স্টাডিজ (এগ্রিকালচার, এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি, অ্যানিম্যাল সায়েন্স, ভেটেরিনারি মেডিসিন, ফরেস্ট্রি, ফুড সায়েন্স, ফিশারিজ), হাইজেনিক স্টাডিজ (ফার্মেসি, হাইজিনিকস, নার্সিং), সায়েন্স (বায়োলজি) মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি, হোম ইকোনমিক্স

পরিশেষে…
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য Monbukagakusho বৃত্তি একটি সুযোগ। এ বৃত্তির ব্যবস্থা না থাকলে জাপানে পড়াশোনা আমাদের জন্য একরকম অসম্ভব হতো। কারণ জাপানে বিদেশী শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম জবের সুযোগ নেই। আর জাপানের মুদ্রা ইয়েন ও টাকার মুদ্রামান অভিন্ন। তাই জাপান গমন উপার্জন ব্যতীত শুধু ডিগ্রী অর্জনের উদ্দেশ্যেই সম্ভব। এ বৃত্তির জন্য IELTS বিবেচনা করা হয় না। জাপানি ভাষা জানা থাকলে শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। জাপানি দূতাবাসের অধীনে সম্পাদিত জাপানি ভাষার কোর্সই বেশি গ্রহণযোগ্য।
বৃত্তি গ্রহীতাকে জাপানি দূতাবাস কর্তৃক প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। তাই আবেদনের প্রক্রিয়ার জন্য জাপানি দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। প্রতিবছর মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে আবেদনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আবেদনের নির্দেশাবলী জাপানে বৃত্তির নিম্নলিখিত ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে:
www.studyjapan.go.jp/en/

বাংলাদেশে জাপানী দূতাবাসের ঠিকানা
প্লট ৫ ও ৭
দূতাবাস রোড,
ডিপ্লোমেটিক এনক্লেভ
বারিধারা, ঢাকা-১২১২

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top