যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা

গবেষণা হোক কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস হোক কিংবা আর্টস যে কোনো বিষয়েই যুক্তরাষ্ট্রের ডিগ্রি বিশ্বমানের। আর তাই উন্নত প্রযুক্তির স্বাদ নিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই প্রথম পছন্দ যুক্তরাষ্ট্র। তার সাথে রয়েছে স্কলারশিপ ও পার্টটাইম চাকরির সুযোগ, যা আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সুবিধার  পাশাপাশি আগ্রহও বাড়িয়ে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার নিয়মকানুন সম্পর্কে জানাচ্ছেন- ফাতেমা মাহফুজ

লেখাপড়ার ভাষা ও যোগ্যতা
যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়ার ভাষা ইংরেজি। তবে ভাষার ওপর দক্ষতা ও যোগ্যতা যাচাই করার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি তাদের পছন্দ অনুযায়ী টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে থাকে। যেমন: SAT, ACT, GMAT, GRE, IELTS, MAT, TOFEL, TSE ইত্যাদি। যারা অনার্স করতে চান, তাদের অবশ্যই SAT অথবা ACT পরীক্ষা দিতে হবে। বর্তমানে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য GRE  টেস্টের নাম্বারটা গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। এসব টেস্টের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করতে পারেন-
www.sat.learnhub.com
www.sat.collegeboard.org/home
www.act.org
www.mba.com
www.ets.org/gre
www.ielts.org
www.toefl.org

শিক্ষা ব্যবস্থা
এখানকার উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সময়কাল আমাদের দেশের মতোই। ব্যাচেলর কোর্স করতে ৩-৪ বছর আর মাস্টার্স করতে ২ বছর লাগে। তবে পিএইচডি’র সময়সীমা রিসার্চের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে। তাছাড়া এখানে নন-ডিগ্রি প্রোগ্রামেরও আয়োজন করা হয়।

পড়ার বিষয়
প্রায় সব বিষয়েই যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া যায়। তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থী সেখানে গবেষণামূলক বিষয় বা ইঞ্জিনিয়ারিং করতে যায়। উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় হলো- ফিজিক্স, ম্যাথ, কেমিস্ট্রি, বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, আর্টস, সোশ্যাল সায়েন্স, আইন, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি। এছাড়া মেডিক্যাল সায়েন্সের নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের ওপরে গবেষণা করা যায়।

খরচ
যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়ার মান উন্নত হওয়ার পাশাপাশি খরচ অনেক বেশি। চার বছরের কোর্স করতে টিউশন ফি ১৫-২০ লাখ টাকা। তাছাড়া মাস্টার্স কোর্স করতে টার্ম প্রতি প্রায় ৩০-৭০ হাজার টাকার মতো লাগবে।

স্কলারশিপ ও পার্টটাইম জব

টাকার খরচ দেখে অনেকে হয়তো ঘাবড়ে যেতে পারেন। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই, কেননা সেখানে আছে পার্টটাইম চাকরির সুযোগ। আছে ৭৫% পর্যন্ত স্কলারশিপ পাওয়ার ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের সর্বশেষ স্কলারশিপের ব্যাপারে জানতে পারেন। বিস্তারিত জানতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসেও যোগাযোগ করতে পারেন। তবে স্কলারশিপের জন্য অবশ্যই বিগত পরীক্ষার ফলাফল ও ভর্তির আগে তারা যেসব পরীক্ষা নেবে তাতে নির্দিষ্ট মার্কস পেতে হবে। এ সংক্রান্ত কিছু লিঙ্ক-
www.educationusa.info/pages/students/finance.php
www.nafsa.org/students.sec/financial_aid_for_study
www.graduateshotline.com/costs.html

ভর্তি এবং অত:পর
আপনি যদি অনার্স কোর্স করতে যেতে চান, তবে ঝঅঞ অথবা অঈঞ পরীক্ষার পর আপনার পছন্দের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তিফর্ম সংগ্রহসহ যাবতীয় নিয়ম জেনে নিন।  আর আপনি যদি গবেষণার কোনো বিষয়ে মাস্টার্স বা পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হতে চান, তাহলে যার অধীনে আপনি গবেষণা করতে আগ্রহী, তাকে নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, থিসিস দিয়ে মোটিভেশান চালান। স্টেটমেন্ট অব মোটিভেশান, সিভি পাঠান। ঘরে বসেই তাদের সাথে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়ান। অত:পর সেখান থেকে সাড়া পেলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে ভিসা সংগ্রহ করুন।

থাকার ব্যবস্থা
ভর্তির পর অবশ্যই ক্লাস শুরুর আগেই সেখানে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব হোস্টেল আছে, তারপরও অনেকেই মাসিক ব্যয়, যাতায়াত খরচ ও যাবতীয় সুবিধা বিবেচনা করে হোটেল, মোটেল, যুব হোস্টেল, আন্তর্জাতিক হাউজিং, এমনকি সেখানকার স্থানীয় ফ্যামিলির সাথেও  থাকেন। আরো বেশি জানতে জানতে নিচের লিঙ্কে  ভিজিট করুন-
www.educationusa.info/pages/students/housing.php

সেরা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ
মনে রাখা ভালো, যেহেতু বিদেশে প্রচুর প্রতিযোগিতা, তাই নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করতে হবে। নিম্নে কিছু বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দেয়া হলো। আগ্রহীরা ভিজিট করতে পারেন।
www.harvard.edu
www.princeton.edu
www.yale.edu
web.mit.edu
www.stanford.edu
www.caltech.edu
www.upenn.edu

2 thoughts on “যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা”

Comments are closed.

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top