পেশা যখন নেটওয়ার্কিং

ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্স : এক বা একাধিক কম্পিউটারে নিজেদের মধ্যে আন্ত সংযোগের প্রক্রিয়াকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলা হয়। নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে একটি PC হতে আর একটি PC তে রিসোর্স শেয়ার করা যায়। Resource মানে হলো = তথ্য+হার্ডওয়্যার।
নেটওয়ার্কিং আকার বা আয়তন অনুসারে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়-
১. LAN(Local Area Network)
২. MAN (Metropolitan Area Network)
৩. WAN (Wide Area Network)

LAN :- একটি অফিসের সকল পিসি নিয়ে একই নেটওয়ার্ক আইডি’র সমন্বয়ে যে নেটওয়ার্ক গঠিত হয় তাকে LAN বলে। একে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলা হয়ে থাকে।

MAN :- একাধিক ল্যান নিয়ে ম্যান গঠিত হয়। তাই একে মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্কিং বলে। তবে এখানে আকার এবং আয়তনের বিস্তার থাকতে পারে। আমরা সচরাচর একটি অফিসের সাথে আরেকটি অফিসের যোগাযোগের জন্যে এই প্রকার নেটওয়ার্কিং করা হয়।

WAN : – একাধিক ম্যান নিয়ে ওয়্যান গঠিত হয়। একে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। এ প্রকার নেটওয়ার্কিং ব্যবহার করা হয় দূরবর্তী স্টেশনের মাঝে নেটওয়ার্কিং করতে। আমরা চট্টগ্রামের সাথে ঢাকার নেটওয়ার্কিং-কে বলতে পারি এই প্রকারের নেটওয়ার্কিং।

শুধু বাংলাদেশ নয় নেটওয়ার্কিং সেক্টরে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বিশ্বজুড়ে। নেটওয়ার্কিংয়ে দক্ষতা ও সার্টিফিকেট থাকলে বাংলাদেশে শীর্ষ সেক্টরগুলোতে যেমন- ব্যাংক, টেলিকমিউনিকেশন, টিভি চ্যানেল, কর্পোরেট কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ রয়েছে।

টেলিকমিউনিকেশন সেক্টর
বাংলাদেশে বর্তমানে ৭টি মোবাইল কোম্পানি এবং কয়েকটি বেসরকারি ল্যান্ডফোন কোম্পানি রয়েছে। এগুলোতে কিছু অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেকশন ছাড়া ৭০% লোককেই হতে হয় নেটওয়ার্কিং বিষয়ে দক্ষ। এক্ষেত্রে সব জায়গাতেই CCNA সার্টিফাইড লোককেই শুধু ইন্টারভিউয়ের জন্য আবেদন করার সুযোগ দেয়া হয়। এসব জায়গায় চাকরির শুরুর দিকে বেতন দেয়া হয় ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। এ বেতন দক্ষতা অনুযায়ী এক থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

টিভি চ্যানেল
প্রতিটি টিভি চ্যানেলের আইটি বিভাগ থাকে। টিভিতে যে ভিডিওগুলো দেখি তা দেখতে পাওয়ার পেছনে গুরুদায়িত্ব পালন করে থাকে টিভি চ্যানেলের আইটি বিভাগের নেটওয়ার্কিং টিম। এছাড়া পুরো অফিসের ভেতরের ইন্টারন্যাল নেটওয়ার্কিংটাও তাদের কাজ। এখানে বেতন হয়ে থাকে ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। যারা আরেকটু অভিজ্ঞ তাদের বেতন ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা হয়।

ব্যাংক
বাংলাদেশের তরুণদের কাছে কাঙ্ক্ষিত চাকরির সেক্টরগুলোর মধ্যে প্রথমেই থাকে ব্যাংক। তারপর আসে টেলিকমিউনিকেশন সেক্টর, তারপর অন্যান্য। প্রতিটি ব্যাংকে প্রচুর নেটওয়ার্কিং এক্সপার্ট থাকে। আর তারাই ব্যাংকের ডাটা সেন্টার, অনলাইন ব্যাংকিং, বুথ, কার্ড ডিভিশনগুলো মেইনটেইন করে। অনেক নেটওয়ার্কিং এক্সপার্ট প্রয়োজন একটি ব্যাংকের জন্য। এ সেক্টরে বেতন শুরু ২০ হাজার টাকা দিয়ে।

আইএসপি কোম্পানি
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বা আইএসপি কোম্পানিতে আছে নেটওয়ার্কিং এক্সপার্টদের কাজ করার সুযোগ। এসব কোম্পানির প্রচুর লোক দরকার হয়। চাকরির শুরুতে বেতন হয় ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। যা দক্ষতার সাথে বাড়তে থাকে।

ডাটা সেন্টার
বাংলােদেশে ইতিমধ্যে অনেকগুলো ছোট ছোট ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেসব প্রতিষ্ঠানেও প্রচুর নেটওয়ার্কিং এক্সপার্টের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া গাজীপুরে হাইটেক পার্কের আওতায় একটি ডাটা সেন্টার তৈরি হচ্ছে, যা বিশ্বে ৫ম বৃহৎ ডাটা সেন্টার। এ ডাটা সেন্টারের জন্য বিশালসংখ্যক নেটওয়ার্কিং এক্সপার্টের চাকরির ব্যবস্থা হবে।
এসব প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে এন্ট্রি লেভেলের বেতন ধরা হয় ২০ হাজার টাকা যা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান
ইন্টারনেট ছাড়া কিংবা কম্পিউটার ছাড়া চালানো সম্ভব এমন কোনো প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর যে সব অফিসে বেশ কিছু কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার আছে সেখানেই দরকার নেটওয়ার্কিং এক্সপার্ট। কোম্পানি কত বড়, সেটির ওপর বেতন নির্ভর করে এসব নেটওয়ার্কিং এক্সপার্টদের।

এসব ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম কাজ করার সুযোগ আছে এ পেশায়।

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top