পড়ার বিষয় : স্বাস্থ্য অর্থনীতি

প্রতিনিয়তই বিস্তৃত হচ্ছে জ্ঞানের ক্ষেত্র। জীবনকে আরো স্বাচ্ছন্দময় করে তুলতে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন বিষয়। এখন যে কোনো বিষয় পড়ে যে কোনো চাকরি খুব একটা পাওয়া যায় না। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রার্থী খোঁজা হয়। তাছাড়া নতুন বিষয় নিয়ে আসে নতুন সম্ভাবনাও। আমাদের এবারের পড়ার বিষয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি। লিখেছেন- সাইফুল ইসলাম

মানুষের আবিষ্কার, গবেষণা, নিরন্তর পরিশ্রম সবকিছুই একটু সুখের জন্য। জীবনকে আরেকটু গতিশীল ও আরামদায়ক করে তুলতে অবিরাম ছুটে চলা।
কিন্তু এসব দিয়ে কী হবে?  যদি উপভোগ করা না যায়? যদি শরীর ভালো না থাকে? কারণ স্বাস্থ্যই যে সকল সুখের মুল। আর তাই বর্তমান সময়ের মানুষ অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। সচেতনতা থেকেই পর্যায়ক্রমে সঞ্চয় বীমা ও আজকের স্বাস্থ্য অর্থনীতি।

যা পড়ানো হয়
অর্থনৈতিক থিওরি, পরিকল্পনা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের ধারণা, সাইকোলজি, ক্লিনিকাল সাইকোলজি, হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট, বীমা পলিসি, গবেষণা পদ্ধতি, স্বাস্থ্যনীতি, পাবলিক হেল্থ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনসমুহের স্বাস্থ্যনীতিসহ স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির বিষয়সমুহ।

কর্মক্ষেত্র
কাজের ক্ষেত্র সম্পর্কে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমদ বলেন, স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করে আইসিডিডিআরবি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, দেশি-বিদেশি এনজিও, হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থায় কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।

আয় রোজগার
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও বিদেশি সংস্থার বেতন যথেষ্ট ভালো। এছাড়া সুযোগ-সুবিধাও আছে অনেক বেশি। এসব সংস্থা বিভিন্ন পদে ২০-৬০ হাজার, এমনকি লাখেরও বেশি বেতন দিয়ে থাকে।

যেখানে পড়বেন
দেশে এখন পর্যন্ত শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) পড়ার সুযোগ রয়েছে।
যোগ্যতা : ‘খ’-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ১৪ পেতে হবে।
উচ্চ মাধ্যমিকে উচ্চতর গণিত, পরিসংখ্যান, অর্থনীতির যে কোনো একটি থাকতে হবে। এক্ষেত্রে গার্হস্থ্য বা ইসলামী অর্থনীতি থাকলে চলবে না। এছাড়াও অন্যান্য শর্ত জানতে ভিজিট করতে পারেন- www.admission.univdhaka.edu -এই ওয়েবসাইটে।
বিদেশে আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপের ইউনিভার্সিটিসমূহে বিষয়টি পড়ানো হয়। তবে সেখানে এমএস, এমফিল, পিএইচডি, পর্যায়ে পাঠদান করা হয়। অনার্স কোর্স নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে ঢাবি এগিয়ে আছে বলা যায়। ইনস্টিটিউটের পরিচালক বলেন বিদেশ থেকে অনেক আবেদন আসছে। সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা নিতে পারছি না।
স্নাতক (সম্মান)  কোর্স ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইনস্টিটিউট থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা, মাস্টার্স, এমফিল, পিএইচডি ইত্যাদি ডিগ্রি নেয়ার সুযোগ আছে। এছাড়া ৮-১০ সপ্তাহব্যাপী বেশ কিছু সংক্ষিপ্ত কোর্স করার সুযোগ আছে এখানে।
বিদেশে পড়ার বিষয়ে জানতে ভিজিট করতে পারেন নিচের সাইটে-
www.ihe.ca
www.york.ac.uk/inst/che
www.abdn.ac.uk/heru
www.city.ac.uk

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top