মেডিকেল-ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা ২৩ সেপ্টেম্বর

দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা ২৩ সেপ্টেম্বর একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমবারের মতো একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি পরীক্ষা পদ্ধতিতেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ সিফায়েত উল্লাহ বলেন, “ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ঝামেলা কমাতে অনলাইনে ফরম প্রক্রিয়াকরণ ও একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।” এবারই প্রথম অনলাইনে ভর্তি ফরম জমা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, ভর্তি ফরমের দাম ও পরীক্ষার ফি টেলিটক মোবাইলে মাধ্যমে জমা দেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, “এমবিবিএস (মেডিকেল) আর বিডিএস (ডেন্টাল) কোর্সে ভর্তির প্রক্রিয়া এক রকম হওয়ার পরও এতোদিন আলাদাভাবে দুটি পরীক্ষা নেয়া হতো। ফলে শিক্ষার্থীদের এক মেডিকেল থেকে অন্য মেডিকেলে ছুটোছুটি করতে হতো।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসান সংখ্যা দুই হাজার ৪৬৫। আর ৪৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে তিন হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারে।

এছাড়া তিনটি সরকারি ডেন্টাল কলেজে ২১৮টি এবং বেসরকারি ডেন্টাল কলেজগুলোতে ৭৬৫টি আসন রয়েছে।

এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য এবার সারাদেশে কমপক্ষে ১৮টি মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে এমসিকিউ (নৈর্ব্যক্তিক) প্রশ্নে এক ঘণ্টার পরীক্ষা হবে।

মেডিকেল শিক্ষা বিভাগের পরিচালক শাহ আব্দুল লতিফ বলেন, “চারটি ভুল উত্তরের জন্য এক নম্বর করে কাটা হবে।”

তিনি জানান, ভর্তির আবেদন করতে হলে এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে ন্যূনতম জিপিএ-৮ পেতে হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম ও তাদের পচ্ছন্দের মেডিকেল কলেজের তালিকা অনুসারণ করা হবে।

আব্দুল লতিফ বলেন, “ইতোমধ্যে কোনো মেডিকেল কলেজ ভর্তি হয়েছেন- এমন কোনো শিক্ষার্থী এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলে তার মোট নম্বর থেকে পাঁচ কেটে নেয়া হবে।”

“অনেক শিক্ষার্থীই পছন্দের মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের ভর্তি পরীক্ষার নম্বর ও জিপিএ মিলিয়ে পাওয়া মোট নম্বর থেকে পাঁচ বাদ দিয়ে মেধাক্রম হিসাব করা হবে।”

এছাড়া বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপের মাধ্যমে জাল প্রার্থী সনাক্ত করার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আব্দুল লতিফ জানান, ভর্তি ফরমের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সফটওয়্যার তৈরি হয়ে গেলেই তা অনলাইনে ছাড়া হবে। অনলাইনে যথাযথভাবে ফরম পূরণ করার পর প্রত্যেককে একটি কোড নম্বর ও পাসওয়ার্ড দেয়া হবে। ওই কোড ব্যবহার করে পরিক্ষার্থীরা টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার ফি জমা দিতে পারবেন।

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top